কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন বাজারে মাছের দাম ছিল খুবই চড়া। আমদানি কম থাকায় খুচরো বাজারে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম উঠেছে দু’হাজার টাকা। সাতশো-আটশো গ্রাম ওজনের দাম দেড় হাজার টাকা। আর তার থেকে ছোট সাইজের ইলিশের দর ছিল ৯০০-১০০০টাকা। এগুলি ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে খোকা ইলিশ হিসেবেই পরিচিত। শুধু ইলিশই নয়, এদিন গলদা চিংড়ির দর ছিল ৮৫০টাকা কেজি। আর পমফ্রেট বিকিয়েছে ৭০০টাকা কেজি দরে।
আত্মশাসনের জেরে অনেকেই এবার বিনা অনুষ্ঠানে বিয়ে সেরেছেন। নতুন জামাইদের কাছে জামাইষষ্ঠীর তাই অন্য মাত্রা রয়েছে। কিন্তু চলতি পরিস্থিতি ও বাজারদর সবার কপালেই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। রামপুরহাটের বাসিন্দা স্বর্ণশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আত্মশাসনের মাঝে কোনও অনুষ্ঠান ছাড়াই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। এবার নতুন জামাই আসবে। অ্যাপায়নে তো আর ত্রুটি রাখা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে চড়া দরেই ইলিশ কিনলাম। আর এক ক্রেতা দেবদুলাল দাস বলেন, প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করি। বেতনে কোপ পড়েছে। অনেক কষ্টে কাতলা মাছ কিনলাম। তার উপর অন্য আনাজপাতিও আছে। সরষের তেলের দামও আগুন। কীভাবে যে জামাই অ্যাপায়ন করব, তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছি না। রামপুরহাটের মাছ বিক্রেতা বাক্কার শেখ বলেন, মাছের জোগান কম। ফলে দাম বেশ চড়া। এদিন অনেকেই ইলিশ, চিংড়ির দাম শুনে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরের বড় কাতলা মাছ কিনেই বাড়ি ফিরছেন। আর যাঁদের সাধ্য আছে তাঁরা জামাইয়ের পাতে ইলিশ দিতে চড়া দরেই কিনেছেন। মাছ ব্যবসায়ীদের কথায়, হিমঘর থেকেই চড়া দরে মাছ আনতে হচ্ছে। তাই আমরা নিরুপায়।
জামাইষষ্ঠীতে জামাইবরণের অন্যতম উপকরণ কাঁকুড় (শসা জাতীয় ফল)। রামপুরহাট সহ বীরভূমের বাজারগুলিতে এবার সেই কাঁকুড় বিক্রি হয়েছে ৫০০টাকা কেজি দরে।