পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের এক বাসিন্দা নিজেকে জানগুরু দাবি করে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা আদায় করত বলে অভিযোগ। তার দাবিমতো টাকা না দিলেই নানা সাজা ঘোষণা করত ওই স্বঘোষিত জানগুরু। শ্রীরামপুরের একই পরিবারের সাতজনকে ওই জানগুরু ডাইনি অপবাদ দেয় বলে অভিযোগ। সোমবার বিকেলে একথা জানাজানি হয় ও উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার গ্রামে যান বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতা সমাজের জেলা সম্পাদক রবিন সরেন। তিনিই দুবরাজপুর ও সদাইপুর থানায় খবর দেন। পুলিস ওই জানগুরুকে আটক করে। কিন্তু কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত জানগুরুর পাল্টা দাবি, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। সে নিজেকে একজন জ্যোতিষী বলে দাবি করে। কোনও গ্রামবাসীকে ডাইনি অপবাদ দিইনি। পুলিস সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি বলেন, শ্রীরামপুরের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আদিবাসীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু ধান্দাবাজ মানুষ ডাইনি প্রথা জিইয়ে রাখতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এব্যাপারে সচেতনতা তৈরির জন্য শিবির করা প্রয়োজন। আদিবাসী গাঁওতা সমাজের জেলা সম্পাদক রবিনবাবু বলেন, কিছু মানুষ আদিবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছে। এমন ভাঁওতাবাজি, অপবাদ দেওয়া বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা মানুষকে এব্যাপারে বোঝাচ্ছি।