বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় শহরের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কেও রয়েছেন। মাফিয়াদের নিজেদের মধ্যেও রেষারেষি রয়েছে। কে কোন জমির দখল নেবে তা নিয়েই প্রতিযোগিতা চলছে। তা নিয়ে শহরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। কয়েকদিন আগেই চোয়াপুর প্রান্তিকপাড়ায় এক তৃণমূল নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, জমি কারবার নিয়ে বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা হয়েছে। পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে গেলে তারা পাল্টা হামলা চালায়।
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন এখনই কড়া পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। বহরমপুরে সিন্ডিকেটের এমন দাপট আগে কোনও দিন দেখা যায়নি। যে কেউ স্বেচ্ছায় জমি কিনতে বা বিক্রি করতে পারত। কিন্তু এখন মাফিয়াদের মর্জি ছাড়া জমি কেনাবেচা দায় হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, জমি মাফিয়াদের মাথার উপর তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। সেই কারণেই ওদের এত বাড়বাড়ন্ত। সরকারি জমিও ওরা দখল করতে ছাড়ছে না। শহরে পুকুর ভরাট করে আবাসন তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কেউ বাধা দিচ্ছে না। বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, শহরে জমির কারবার কারা করছে তা সবাই জানে। তৃণমূল নেতারা সব কাজেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। শহরের এতগুলি পুকুর ভরাট হয়ে গেল। অথচ কারও বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিল না। জমি মাফিয়াদের নিজেদের মধ্যেও লড়াই শুরু হয়েছে। কে কোন এলাকা দখলে রাখবে তা নিয়েই তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, কংগ্রেস ও বিজেপি সিন্ডিকেটের জনক। আমরা কখনোই এই ধরনের কাজ সমর্থন করি না। এরকম হলে প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।
শাসকদল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেউ অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। দলের একাংশের দাবি, তারপরও কেউ কেউ অবৈধ কাজে জড়াচ্ছে। তাদের উপর নজরদারিও শুরু হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে ওই নেতাদের চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে দলের এক নেতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন রাজ্য নেতৃত্ব সব খবর রাখছে। তাই অবৈধ কাজ করে কেউ পার পেয়ে যাবে এমনটা ভাবার কারণ নেই।