কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কাটোয়া শহরের কাছারি রোডে ডিডিসি গার্লস স্কুলে ঘটনায় হইহই পড়ে যায়। এদিন পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিল দেওয়ার দিন ছিল। পাশাপাশি এদিনই আবার একসঙ্গে কন্যাশ্রী ফর্ম জমা ও তোলার দিন দেওয়া হয়েছিল স্কুলের পক্ষ থেকে। ফলে প্রায় ৮৫০ জন ছাত্রীর লাইন পড়ে যায় স্কুল চত্বরে। সংকীর্ণ এলাকায় কোথাও সামাজিক দূরত্ববিধি না মানার অভিযোগ ওঠে। স্কুলের অফিস ঘর থেকে কন্যাশ্রী ফর্ম দেওয়া হচ্ছিল। ফলে ওই ফর্ম নিতে ছাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। প্রচুর ছাত্রী ভিড়ে ঠাসাঠাসি হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে। কার্যত ভিড়ে স্কুলের অফিস ঘর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে আবার কয়েকজন ছাত্রী ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভিড়ের মধ্যে অনেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন।
তাছাড়া যেখানে সরকারি নিয়মে বলা হচ্ছে কেবল অভিভাবকরাই স্কুলে মিড ডে মিল নিতে আসবেন। অভিযোগ, ডিডিসি গার্লস স্কুলে এদিন অনেক ছাত্রীকে মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। এ নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মৌমিতা মাঝি বলেন, আমি নিজেই এসেছি মিড ডে মিল নিতে। কিন্তু যা লাইন দেখছি তাতে খুব ভয় লাগছে। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রণতি মণ্ডল, অর্পিতা মণ্ডল, মুনমুন ঘোষ বলেন, কন্যাশ্রী ফর্ম নিতে একটাই তারিখ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা বাধ্য হয়েই স্কুলে এসেছি। খুব অস্বস্তি লাগছে। তাছাড়া স্কুলে মাত্র একটি দরজা দিয়ে এক জায়গা থেকেই ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। বার বার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি।
এদিন অভিভাবকদের একাংশ ক্ষোভে বলেন, এইভাবে জমায়েত করে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে স্কুলে। চূড়ান্ত অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি করা হল। স্কুলের ক্লাস রুমগুলি খুলে ধাপে ধাপে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে ফর্ম দিতে পারত। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনও কথাই শোনেনি। এখন কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তার দায়ভার কে নেবে। সংকীর্ণ অফিসঘরে গাদাগাদি করে যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড় করানো হল তা নিয়ে বলার কোনও ভাষা নেই।
এ বিষয়ে কাটোয়ার মহকুমাশাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। আর পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।