কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমরা করোনার ডেথ অডিটেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিম্নমুখী। বেড়েছে সুস্থতার হারও। এই অবস্থায় সেফ হোম বা হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডগুলিতে চাপ কমলেও পরিকাঠামো উন্নয়নে ঢিলেমি দিতে নারাজ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক হয়। সেখানেই শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালগুলিতেও পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বেড বাড়ানোর পাশাপাশি এনআইসিইউ বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বর্ষায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। করোনার মাত্রাতিরিক্ত প্রকোপে মশা দমনে তেমনভাবে তৎপর হওয়া যায়নি। তাই আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া সর্বত্র মশার প্রকোপ বেড়েছে। তা নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। শুক্রবারও এনিয়ে জেলাশাসক আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
করোনা সংক্রমণের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে ফের বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তাঁদের জন্য টেলিমেডিসিন পরিষেবার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলাশাসক এবার সরকারি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
এদিকে শুক্রবার আসানসোলের বিভিন্ন ওষুধের দোকান পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম। ওষুধের কালোবাজারি হচ্ছে কি না তা তাঁরা খতিয়ে দেখেন।