সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
রামপুরহাট হাসপাতালের ২ নম্বর গেট দিয়েই সাধারণত যাতায়াত করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সন্ধ্যা নামলেই সেই গেটের ধারের রাস্তার দু’ধারে আড্ডা জমাচ্ছিল কিছু যুবক। এমনিতেই ওই রাস্তাটি নিরিবিলি। পর্যাপ্ত আলো নেই। সিসি ক্যামেরাও নেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই যুবকের দল নার্স ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের ইভটিজিং ও অশালীন ইঙ্গিত করছিল। এমনকী নানা অছিলায় তাঁদের শরীরে হাত দিচ্ছিল বেপরোয়া ওই যুবকরা। ক্রমশ তাদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছিল। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত ৪ জুন অশালীন আচরণের শিকার হওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানান। এরপরই বিষয়টি জানানো হয় পুলিসকে। অবশেষে ২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশের রাস্তার ধারে একটি সাইকেল স্ট্যান্ডের শেডের নীচে বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট। সেখানে রয়েছেন দু’জন করে কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিস জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় সেখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিসি নজরদারি চলবে।
এদিকে পুলিস পিকেট বসলেও এখনও পথবাতি বসানো হয়নি। ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকার গ্রাস করছে গোটা রাস্তাটিকে। কেউ অঘটন ঘটালে তাকে চিহ্নিত করতে হিমশিম খেতে হবে পুলিসকেও। সিসি ক্যামেরাও নেই। অন্ধকারে পথ চলতে আতঙ্কিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এব্যাপারে মেডিক্যালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, মেডিক্যাল চত্বরে এখনও কিছু কাজ করছেন বরাত পাওয়া নির্মাণকারী সংস্থা। তাঁদেরই নিকাশি নালা তৈরি করার কথা। কিন্তু সেই কাজ ধীরগতিতে চলায় রাস্তায় পথবাতি বসাতে পারছে না পিডব্লুডি। কারণ, এখন পথবাতি বসানো হলে পরে নিকাশি নালার জন্য খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সেগুলি নষ্ট হতে পারে।
সেই সঙ্গে মেডিক্যালের দু’টি সিসি ক্যামেরা খুব একটা প্রয়োজন নেই, এমন জায়গায় লাগানো রয়েছে। আপাতত সেগুলি খুলে ২ নম্বর গেটের রাস্তায় লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশমতো টেন্ডার করে মেডিক্যাল চত্বরে আরও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি পাঠাচ্ছি।