সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
প্রসঙ্গত, খেজুরি-২ ব্লক এবং নয়াচর এলাকায় সবচেয়ে বেশি কাঁকড়ার চাষ হয়। এছাড়া নন্দীগ্রাম, সমুদ্র তীরবর্তী কাঁথি-১ ব্লক, দেশপ্রাণ ব্লক ও রামনগর এলাকায় প্রচুর কাঁকড়ার চাষ হয়। ওপেন কালচার বা মুক্ত পদ্ধতিতে চাষ ও বক্স কালচার বা বাক্সের মধ্যে চাষ, দু’রকম পদ্ধতিতে কাঁকড়ার চাষ হয়। উৎপাদিত কাঁকড়ার বেশিরভাগই চিন, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়া অর্ডার অনুযায়ী দেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হয়। আবার উপকূল এলাকায় হোটেল-লজে নিয়মিত কাঁকড়া সরবরাহ করা হয়। গত কয়েক বছরে এই সমস্ত এলাকায় কাঁকড়ার চাষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অনেক চাষিই সাধারণ চাষ ছেড়ে বেশি লাভের আশায় কাঁকড়ার চাষ শুরু করেছেন। বহু চাষি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু যশ সব শেষ করে দিয়ে গেল। খেজুরির কাদিরবাদচর এলাকার বাসিন্দা ননীগোপাল সাউ বলেন, চারটি ভেড়িতে কাঁকড়ার চাষ করেছিলাম। জলোচ্ছ্বাসে সবই ভেসে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়ে গেল। কী করে ঘুরে দাঁড়াব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। নয়াচর থেকে রামনগর-সর্বত্রই চাষিরা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন। বিশেষ করে বাক্স সহ অন্যান্য পরিকাঠামো পুরোটাই ভেসে গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর ক্র্যাব ফার্মার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৌমিত্র প্রামাণিক বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কাঁকড়া চাষ একটা উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। জেলার কাঁকড়া বিদেশের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। কিন্তু একটি ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সবই নষ্ট হয়ে গেল। সরকার পাশে না দাঁড়ালে কাঁকড়া চাষকে পুনরায় দাঁড় করানো অসম্ভব। সরকারকে বিপুল অঙ্কের যেমন আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, তেমনি পরিকল্পনা করে গঠনমূলক নানা উদ্যোগ নিতে হবে।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, কাঁকড়া চাষিদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা আমার কাছে তাঁদের দাবিপত্র পেশ করেছেন। কাঁকড়া চাষিদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে মৎস্যমন্ত্রী হিসেবে যতটুকু উদ্যোগ নেওয়ার তা নিশ্চয়ই নেব। আমরা কাঁকড়া চাষিদের পাশেই আছি।