গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই এলাকার নতুনগ্রাম কৃষি সমবায় সমিতিতে প্রায় ৭ হাজার চাষির নাম নথিভুক্ত রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণপুর কৃষি সমবায় সমিতিতে নথিভুক্ত রয়েছে প্রায় ১ হাজার চাষি ও আমিত্যা কৃষি সমবায় সমিতিতে নথিভুক্ত চাষির সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এলাকার চাষিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ওই এলাকার মাঠগুলিতে সবেমাত্র বোরোধান কাটা শুরু হয়েছে। প্রায় ৪০ শতাংশ চাষি ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলেও, ৬০ শতাংশ চাষির ধান জমিতেই পড়ে রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে এখনও পর্যন্ত চাষিরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেননি বলে অভিযোগ। নতুনগ্রামের চাষি আহম্মদ শেখ বলেন, চার বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। একবিঘা জমির ধান ঘরে উঠেছে। বাকি তিন বিঘা পাকা ধান জমিতে পড়ে রয়েছে। কিন্তু ঝড়বৃষ্টির কারণে জমির ধান নষ্ট হওয়ার মুখে। কতটা ধান বাড়িতে উঠবে, তা বলতে পারছি না। সুভাষনগর গ্রামের চাষি প্রতাপ মণ্ডল বলেন, গত দু’দিন যেভাবে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে, তাতে জমির ধান আর পাব বলে মনে হচ্ছে না। তবে বিমা করার ফলে কিছুটা চিন্তামুক্ত হতে পারছি।
যদিও এলাকার চাষিদের একাংশের বক্তব্য, এই এলাকার চাষিরা শুধু যে কৃষিঋণ নিয়ে চাষ করেছেন, তা নয়। অনেকে মহাজনী ঋণ নিয়েও চাষ করেছেন। তাই এই দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাঁরা। এলাকার নতুনগ্রাম কৃষি সমবায় সমিতির সম্পাদক আল হামদো বলেন, কত কয়েকদিনে এই এলাকায় যেভাবে ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব হয়েছে। তাতে প্রায় ৫০ শতাংশ চাষি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তবে আমরা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছি। কান্দি মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, এলাকার বিভিন্ন ব্লকের কৃষিদপ্তরকে বলা হয়েছে, যেসব জমির ধান নষ্ট হয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করে তালিকাবদ্ধ করাতে। তবে এই তালিকা প্রস্তুত হতে কিছুটা সময় লাগবে।