বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাকে নিয়ে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে আসেন রুমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মাকে নিয়ে ভোরবেলা থেকে লাইন দিয়েছি। কিন্তু, ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। খুবই হতাশ হলাম। কবে থেকে ভ্যাকসিন স্বাভাবিক হবে কিছু জানতে পারছি না। ভ্যাকসিন নিতে আসা আর এক বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত পালও সরব হয়েছেন সেন্টারের অব্যবস্থা নিয়ে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ভালোভাবেই পেয়েছি। দ্বিতীয় ডোজের নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাচ্ছে। আজ নিয়ে তিনদিন ফিরে যেতে হল। কর্তৃপক্ষের কোনও দায়িত্ববোধ নেই। মানুষকে কবে কতটা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেই তথ্যটুকু তাঁরা দিতে পারছেন না। ওঁরা কি মানুষের দুর্দশা নিয়ে মজা দেখছেন? আর এক প্রবীণ আশিসকুমার মণ্ডল এদিন ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, না খেয়ে লাইন দিতে হচ্ছে। রোজ করোনার দাপট বাড়ছে। লোক মারা যাচ্ছে। তাও প্রথম ডোজ দেওয়ার কোনও খবর নেই। সেকেন্ড ডোজ নিয়েও নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। যাঁরা কোভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের হয়রানির শেষ নেই। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে তো অভিযোগের শেষ নেই। ভ্যাকসিন নিয়ে বার বার এ ধরনের অভিযোগ আসছে। যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সরব মানুষ। অন্য ভ্যাকসিন সেন্টারগুলি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ। বাইরে বেসরকারি পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজেও একইরকম অব্যবস্থা। সব মিলিয়ে আজও পাল্টালো না জেলার ভ্যাকসিন চিত্র। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, ভ্যাকসিন সরবরাহ কম। তাই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, কেন এই অব্যবস্থা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।