গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এ বিষয়ে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, করোনা আবহে মেলা হওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ে পুলিস, প্রশাসন যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে আমরা একমত। আমরা সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পূর্বস্থলী ২ ব্লকের জামালপুরে বৈশাখ মাসের পূর্নিমা তিথিতে বুড়োরাজের পুজোয় ফি বছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও মূলত নদীয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও ভক্তরা বিভিন্ন প্রকার বাজনা নিয়ে আসেন। তার সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে আসাটাও দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাম দা, ভোজালি, টাঙি থেকে শুরু করে বোম পর্যন্ত নিয়ে আসেন ভক্তদের একাংশ। বছর বছর এমনই চলে আসছে। এর সঙ্গে ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে আছে বলে জানান স্থানীয়রা। পুজোর কয়েকদিন মেলাও বসে। আগের বছরও করোনা আবহের জন্য মেলা বন্ধ করা হয়েছিল।
এদিন জামালপুরের বুড়োরাজের মেলা নিয়ে বৈঠকে বসেন স্থানীয় থানার আইসি, বিধায়ক সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। ছিলেন সেবায়েতরাও। করোনা সংক্রমণ রুখতে ভিড় আটকাতে হবে। একমাত্র মেলা বন্ধ রাখলেই ভিড় আটকানো সম্ভব। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুজোর সময় মন্দির চত্বরে কোনও মেলা বসবে না। শুধুমাত্র নিরমরক্ষার জন্য সেবায়েতরা পুজোটুকু করবেন। যেহেতু তিন জেলার মানুষ আসেন এই পুজোয়। তাই মেলা বন্ধের জন্য প্রচার করা হবে। ভিন জেলাতে প্রচার করা হবে। আইন অমান্য করলে পুলিস প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে।
সেবায়েত প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারও করোনার জন্য মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা পুলিস প্রশাসনের পরামর্শ মেনেই কাজ করব।
এদিকে বুড়োরাজের মেলা বন্ধ হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। অনেকে বলেন, আমরা সারাবছর এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকি। মেলায় আমরা পুজোর ডালি সাজিয়ে বসে থাকি। ভক্তরা আমাদের থেকে পুজোর সামগ্রী কিনে পুজো দিতে যান। এবারে ভক্তরা না এলে কী হবে!