কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলায় তিনটি পুরসভা রয়েছে। পুরুলিয়া পুরসভায় ২৩টি, রঘুনাথপুরে ১৩টি ও ঝালদা পুরসভায় ১০টি ওয়ার্ড রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে তিনটি পুরসভাতেই তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। পুরুলিয়া পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮, ১৫, ১৭, ১৯, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। এই পাঁচটি ওয়ার্ড ছাড়া সবক’টিতেই পিছিয়ে তৃণমূল।
পুরুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢালাও উন্নয়ন করেছেন। শহরের মানুষকে সবরকম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, শহরগুলির দায়িত্ব যে নেতাদের কাঁধে ছিল তাঁরা সেই পরিষেবা ঠিকমতো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেননি। পরিষেবা দেওয়ার নাম করে অনেকেই ধান্দাবাজি করেছেন। দলকে তারই ফল ভোগ করতে হয়েছে। তবে গ্রামের মানুষ তৃণমূলকে ঢালাও ভোট দিয়েছেন। রঘুনাথপুর পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র দু’টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। রঘুনাথপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউরি বলেন, আমরা অধিকাংশ ওয়ার্ডে পিছিয়ে থাকলেও আগের চেয়ে ফল ভালো হয়েছে।
ঝালদা পুরসভায় ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে একমাত্র ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বাকি ন’টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে রয়েছে শাসক দল। ঝালদা শহরে এই ভরাডুবির পরেও বাঘমুণ্ডি বিধানসভায় জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাত বলেন, শহরে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কিছু খামতি অবশ্যই আছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দিনে সেই খামতি আমরা দূর করব। বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, পুরুলিয়া জেলায় শহরাঞ্চলের মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। শহরের মানুষ উন্নত পরিষেবা পাওয়ার জন্য বিজেপির উপরেই ভরসা করেছেন। বিধানসভা ভোটে সেটাই প্রমাণ হয়েছে।