গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
১৬ সালের বিধানসভা ভোটে খড়্গপুর সদর বাদে বাকি কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূল প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছিলেন। অভিযোগ, লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রগুলিতে এগিয়ে গিয়ে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছিল বিজেপি। ফলে তৃণমূল অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায়। কিন্তু মানুষ বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় তৃণমূল আবার ঘুরে দাঁড়ায়। এবার বিধানসভা ভোটে ফের জয় আসে।
গত লোকসভা ভোটে জেলার এই ছয় কেন্দ্রে বিজেপি ৭৮ হাজার ৬১৯ ভোটে এগিয়ে ছিল। খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ১৩২, মেদিনীপুরে ১৬ হাজার ৬৪১, কেশিয়াড়িতে ১০ হাজার ৮৭৪, নারায়ণগড়ে ৮৭৫০ ও দাঁতনে ৬৬৮৯ ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। খড়্গপুর কেন্দ্রে অবশ্য ৯৪৬৭ ভোটে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। এবার বিধানসভা ভোটে লোকসভা ভোটের পরাজয়ের ব্যবধান ঘুচিয়ে ৭৫ হাজার ২২৫ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। পাঁচটি কেন্দ্রে প্রার্থীরা জয় ছিনিয়ে এনেছেন। কেবলমাত্র খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে সামান্য ভোটে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। লোকসভার পিছিয়ে পড়া যে পাঁচটি কেন্দ্রে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয় এসেছে খড়্গপুর গ্রামীণ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২৩০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। মেদিনীপুর কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৩৯৭, কেশিয়াড়িতে ১৫ হাজার ৩৩০, নারায়ণগড়ে ২৪১৬ ও দাঁতন কেন্দ্রে ৬২৩ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
লোকসভা ভোটের পর দিলীপবাবু মেদিনীপুরে এলেই নারায়ণগড়, দাঁতন ও কেশিয়াড়িতে যেতেন। ভোটের প্রচারে এসে এই সব কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হবে বলে তিনি ঘোষণাও করে দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ইভিএম মেশিনে মানুষ যোগ্য জবাব দিয়েছেন। তাঁর এই লোকসভা কেন্দ্রের হেড কোয়ার্টার মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সেলিব্রিটি প্রার্থী জুন মালিয়াও জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। অমিত শাহ রোড শো করেও দলের প্রার্থীকে জেতাতে পারলেন না।