বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার জয়দীপ রায় বলেন, শনিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে তিনজন রোগী এসেছিলেন। এদের মধ্যে দু’জনকে করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচানো গিয়েছে। কিন্তু ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ষাট বছর বয়স্ক এক মহিলাকে বাঁচানো যায়নি। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ১০২ কোভিড অ্যাম্বুলেন্স সময়মত না আসায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর কোভিড প্রোটকলের ঠেলায় ২৪ ঘণ্টা ধরে হলদিয়া হাসপাতালের মর্গেই পড়ে থাকে তাঁর দেহ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুরসভার টানাপোড়েনে রবিবার সন্ধে পর্যন্ত মর্গের সামনে বসে থাকতে দেখা যায় মহিলার আত্মীয়স্বজনকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মাত্র ১০২ কোভিড অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে শিল্পশহরের পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। কোনও মুমূর্ষু করোনা রোগীকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বা হলদিয়ার রেফার রোগীকে পাঁশকুড়া পৌঁছে দিতে ওই অ্যাম্বুলেন্সই সবেধন নীলমণি। এদিকে, মহকুমা হাসপাতালের সদ্য চালু হওয়া করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। রোগীদের ঠিকমত অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে না বলে পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় রবিবার থেকে হলদিয়া হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা হঠাৎ তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। রোগীদের জন্য অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখতে বিভিন্ন শিল্পসংস্থা থেকে ৮০টি বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিলিন্ডার আনা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীরা দেরিতে হাসপাতালে আসায় সমস্যা হচ্ছে। তাঁরা যখন আসছেন তখন তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল করোনার লেভেল-টু মানের হাসপাতাল। ৮০ শতাংশের নীচে অক্সিজেন লেভেল নেমে গেলে সেই রোগীকে এখান থেকে আইসিইউ কোভিড হাসপাতালে রেফার করতে হচ্ছে। হলদিয়ায় এধরনের হাসপাতাল না থাকায় চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হচ্ছে। তাছাড়া হলদিয়া করোনা রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ার বড় কারণ হোম আইসোলেশনে থাকার সময় নজরদারির অভাব। পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীর অভাব থাকায় ওয়ার্ডগুলিতে সঠিক নজরদারি হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ২ লক্ষ বাসিন্দার জন্য মাত্র ৫০-৫৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী। এদিকে, আক্রান্ত পরিবারগুলিতে সামাজিক সমস্যার জন্য করোনা লুকিয়ে রাখার প্রবণতা মৃত্যু ডেকে আনছে বলে জানিয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর। পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশুশেখর মণ্ডল বলেন, হলদিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভীষণ উদ্বেগজনক, সেজন্য দ্রুত আইসিইউযুক্ত করোনা হাসপাতাল চালু করার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে আর্জি জানিয়েছি।