বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সুব্রতবাবু এবার প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। সাগরদিঘিতে লাগাতার প্রচার করে মিমের ঝুলিতে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৪৫০টি। এসডিপিআই আরও কম ভোট পেয়েছে। ১২৮০টি ভোট পেয়ে তাদের থেমে যেতে হয়েছে। তৃণমূল পেয়েছে ৯৫ হাজার ১৮৯টি ভোট। ৪৪ হাজার ৯৮৩টি ভোট পেয়ে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। তারা ৩৬ হাজার ৩৪৪টি ভোট পেয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে তাদের ঘরে বাইরে দুই শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় দলের একাংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তাদের প্রচারে সেভাবে দেখা যায়নি। দলের এক নেতা মিমের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও হায়দরাবাদের দলটি এই কেন্দ্রে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। বিজেপিও এই কেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়েছিল। আদিবাসী ভোট টানার কৌশল তারা নিয়েছিল। কিন্তু, এত কিছুর পরেও গেরুয়া শিবির এখানে জয়ের পতাকা ওড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্য সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি এনআরসি বিরোধী হওয়া অন্য দলগুলিকে তৃণমূলের ধারেকাছে আসতে দেয়নি। তাছাড়া হায়দরাবাদী দলটিকে ভোট দিলে বিজেপির সুবিধা হবে সেটা অনেকেই বুঝে গিয়েছিলেন। তাই তাদের সর্বোচ্চ নেতা দু’বার এখানে সভা করেও মানুষের মন জয় করতে পারেনি। তৃণমূলের দাবি, এই কয়েক বছরে সাগরদিঘির প্রতিটি এলাকাতেই উন্নয়ন হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়া কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী প্রকল্পগুলির সুবিধাও বাসিন্দারা পেয়েছেন। সেই কারণে এবারের ভোটে তাঁরা দলের প্রার্থীর পাশে থেকেছেন। এই কেন্দ্রে ২০১১ সাল থেকে কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে থাকে। কিন্তু, এবার ময়দানে নামার আগেই হাত শিবির তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় দলের নেতারা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন পর্যন্ত করেছিলেন। দলের হয়ে অনেকে প্রচারও করেননি। সেই কারণেই কংগ্রেস দ্বিতীয় থেকে এবার তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সুব্রত সাহা বলেন, সবসময় মানুষের পাশে থাকি। এলাকার উন্নয়নও যথেষ্ট হয়েছে। কী কী কাজ আমরা করতে পেরেছি, তার তালিকা তুলে ধরেছিলাম। তাই মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। এবারের লড়াইটা প্রথম থেকেই আমার সহজ মনে হয়েছিল। ২০১১ সালের নির্বাচন কঠিন ছিল। সেবার মানুষ আমার পাশে ছিলেন। তাই এবারও প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলাম।
জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুজিত দাস বলেন, ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করা হবে। জেলায় আমাদের অনেক ভোট বেড়েছে।