কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইলামবাজারের মোট জনসংখ্যার ৫১.৬৭ শতাংশ হিন্দু এবং ৪৭.৪ শতাংশ মুসলমান। বর্তমানে ইলামবাজারে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৭৩ জন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্রে তৃণমূল ১৫ হাজার ৬১২ ভোটে বিজেপিকে হারালেও, ইলামবাজারে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ছিল ২৭ হাজারের কিছু বেশি। তাই বোলপুর ব্লকের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতারা ইলামবাজারের ভোটকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। এলাকার ৪৭.৪% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট এবারও বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের থেকেও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল আরও ভালো ফল করবে। কারণ, এলাকায় গত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুতায়নের মতো প্রাথমিক পরিষেবার পাশাপাশি, ইলামবাজার কিষাণ মান্ডি, জয়দেব কেন্দুলিতে বাউল অ্যাকাডেমি, ইলামবাজার শহরে আইটিআই কলেজ, কবি জয়দেব কলেজ, প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে নতুন করে গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি, ইলামবাজারের স্বাস্থ্যপরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ৮০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে অজয় ও সাল নদীর উপরে তিনটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। এই সেতুগুলি তৈরি হয়ে গেলে বোলপুরের সঙ্গে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলার যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এছাড়াও গত ১০ বছরে ধরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে চলেছে শাসক দল।
তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, এবারের লড়াই মূলত একটি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, যারা মিথ্যা কথা বলে মানুষের ভোট নিতে চাইছে। তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে বাংলায় হিন্দু-মুসলিমের যে সম্প্রীতি রয়েছে, তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য অসমের মানুষের কী যে দুরবস্থা, তার দিকে নজর রেখেছেন এখানকার মানুষ। গত এক বছরে করোনা কালে বিজেপি নেতাদের দেখা না গেলেও নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘনঘন যাতায়াত করছেন। তাই যাকে বিপদে ডাকলে পাওয়া যাবে, এমন মানুষকেই চান স্থানীয়রা।
বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, গত ১০ বছরে এলাকায় ন্যূনতম উন্নয়নটুকুও হয়নি। তৃণমূলের নেতারা শুধু নিজেদের পকেট ভরেছেন। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে পাওয়া বাড়ি তৈরিতেও কাটমানি খেয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। অনেক গ্রামে পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ,স্বাস্থ্যপরিষেবা বেহাল, সেতু সংস্কারে ধীরগতির ফলে যাতায়াতে রয়েছে সাধারণ মানুষের প্রচুর সমস্যা। এর জবাব তৃণমূলকে সাধারণ মানুষই দেবেন, নির্বাচনে বিজেপিকে জিতিয়ে।