পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার নববর্ষের দিনে সকাল থেকেই রবিবাবু জনসংযোগে নামেন। সকালের দিকে তিনি স্টেশন বাজারে নিজের চায়ের দোকানে গণেশ পুজোয় যোগ দেন। দোকানে কিছুক্ষণ বসে থাকেন। তারপর আবার তিনি প্রচারে বের হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া শহরের বিভিন্ন বাজারে ভিড় বাড়তে থাকে। বহু মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। রবিবাবুকে মাইক হাতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখে বাজারের অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, তিনি ভোট চাইতে বের হয়েছেন। কিন্তু, তৃণমূল প্রার্থী মাইকে বক্তব্য শুরু করতেই অনেকে অবাক হয়ে যান। রবিবাবু ভোট চাওয়ার বদলে সকলকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করেন।রবিবাবু বলেন, যেভাবে করোনা বাড়ছে, তাতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রত্যেককেই মাস্ক ও স্যানিটাইজার কাছে রাখতে হবে। অন্যদিন তো ভোট চাইতে বের হই। কিন্তু, নববর্ষের দিন প্রত্যেকেই যাতে ভালো ও সুস্থ থাকেন, সেটাই আমি চাই। তাই এদিন ভোটের প্রচারের বদলে মাস্ক পরার জন্য সকলকে সতর্ক করেছি।
এদিন কাছারি রোড, স্টেশন বাজার চৌরাস্তা সহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মাস্ক পরার জন্য প্রচার চালান। শুধু সাধারণ মানুষদের নয়, তাঁর দলের কর্মীদেরও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মাস্ক না পরে তাঁরা কোনও মিটিং মিছিলে হাঁটতে পারবেন না। দলের কর্মী সুজয় দে বলেন, যেভাবে আবার করোনা বাড়ছে, তাতে এখন থেকেই সাবধানে থাকতে হবে। প্রার্থী আমাদের প্রত্যেককেই মাস্ক পরে মিটিং বা যেকোনও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলেছেন। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, তৃণমূল প্রার্থীকে দেখে ভেবেছিলাম, তিনি ভোটের প্রচারে এসেছেন। কিন্তু, ভোট না চেয়ে আমাকে বললেন, মাস্ক পরতে। সত্যিই যেভাবে করোনা বাড়ছে, তাতে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজস্ব চিত্র