কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নতুন প্রযুক্তিতে ছাত্রছাত্রীদের সড়গড় করতে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন স্কুলগুলোতে ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে নানা পরিকল্পনা। পঞ্চম শ্রেণী থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত রুটিন মেনে অনলাইনেই চলছে পড়াশোনা। বিষয় ধরে পড়ানো, বাড়ির কাজ, ছাত্রছাত্রীরা কতটা শিখছে সবই দেখা চলছে অনলাইনে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনলাইনেই যথাসাধ্য পড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও অনেক ক্ষেত্রেই খামতি থেকে যাচ্ছে। যা কিছুতেই পূরণ করা যাচ্ছে না বলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিমত।
করোনা মহামারীর আগে স্কুলের কাজ না করলে শিক্ষিক-শিক্ষিকারা ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের পড়া না করে আসার কারণ জানতে চাইতেন, বকতে পারতেন। এখন স্কুলের কাজ না করলে অনেক সময় ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট টাইমে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত থাকছে না। ক্লাসরুমের মধ্যে সবাইকে একসাথে পড়ানোর যে সুবিধা ছিল অনলাইন ক্লাসগুলোতে তা পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফলে ছাত্রছাত্রীদের শেখানোর ক্ষেত্রে খামতি থেকে যাচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের আগে যে মক টেস্টগুলো নেওয়া হতো সেগুলো নেওয়া যাচ্ছে না। যাতে ক্ষতি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে। যদিও আরামবাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় বলেন, আমরা নতুন প্রযুক্তিকে আয়ত্ত করে নেওয়ার চেষ্টা করছি। অনলাইনের মাধ্যমে যতটা সম্ভব সহজ করে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। এতদিন পরীক্ষার আগে স্কুলে মক টেস্টগুলো নিতাম। এখন অনলাইনেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য মক টেস্ট চলছে। ছাত্ররাও উৎসাহিত হয়ে ঘরে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে।
তবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটা বিষয়ে একমত, বহু দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েরা অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারছিলেন না বাড়িতে অ্যানড্রয়েড ফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপ না থাকার জন্য। বিশেষ করে যারা এবার উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা দেবে। রাজ্য সরকারের ট্যাব পাওয়ায় পড়াশোনা ও পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারছে তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের ভূমিকায় এইসব পরিবারের অভিভাবকরা খুশি।
আরামবাগ গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী দে বলেন, ট্যাব দেওয়ার এই প্রকল্প দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অবশ্যই আশীর্বাদের মতো।
শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষিকা অনীতা মুখোপাধ্যায় বলেন, যারা আমাদের ভবিষ্যৎ, যারা আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তাদের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার বিপদের মুখে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে তাদের কথা ভেবে তাদের হাতে ট্যাব তুলে দিয়েছেন। একজন শিক্ষিকা হিসাবে এরজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাব।
খানাকুলের নন্দনপুর রূপচাঁদ অ্যাকাডেমির দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী প্রতীম বাগ বলেন, ট্যাব পেয়ে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারছি। মোবাইলের মাধ্যমে কোনওরকমে অনলাইন পড়াশোনা চলছিল। কিন্ত এই ট্যাব হাতে আসায় পড়াশোনা অনেক সহজ হয়ে গেছে। রাজাহাটী বন্দর হাইস্কুল, অতুল বিদ্যালয়ে আমার অনেক বন্ধুরা পড়ে। আমাদের সবার হাতে ট্যাব আসায় কোভিডের মতো কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে ভালো ফলের আশা করছি।