পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের সুনাম যথেষ্ট রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জেলার রোগীরা বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাই ধারে-ভারে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গুরুত্ব সারা দেশজুড়েই রয়েছে।
মেডিক্যাল সূত্রে খবর, ভূমিকম্প, বন্যা বা বড় কোনও বিপর্যয় হলে সাধারণত হাসপাতালেই রোগীদের নিয়ে আসা হয়। সেইসময় একসঙ্গে বহু রোগী চলে আসেন। তার ফলে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হন চিকিৎসকরা। তাছাড়া নির্দিষ্ট অসুস্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে প্রয়োজন হয়। কিন্তু, এবার চিকিৎসার ধরন বদলে যাচ্ছে। সব চিকিৎসকরাই মোটামুটি বিপর্যয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা সব ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর যৌথ উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যের আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও বাঁকুড়ায় এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছে। মেডিক্যালের এক কর্তার দাবি, বাঁকুড়া সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ও জাতীয় সড়ক রয়েছে। সেখানে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটলে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীকে বাঁচানোর ক্ষেত্রেই সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পূর্তদপ্তর মেডিক্যালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি নির্মাণের বরাত পেয়েছে। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচে মেডিক্যালে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠবে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১০০০-র বেশি চিকিৎসক রয়েছেন। তাছাড়া নার্সও রয়েছেন বহু। প্রত্যেককেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির চিকিৎসক ও নার্সরাও এই ট্রেনিং পাবেন। প্যারা মেডিক্যাল স্টাফরাও প্রশিক্ষণ নেবেন।মেডিক্যালের এক আধিকারিক বলেন, মানব পুতুল সহ নানা ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠলে সেইসব যন্ত্রপাতি কিনতেও কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে কলকাতা সহ পাশ্ববর্তী জেলার বাসিন্দারা চিকিৎসার সুবিধা পান। কিন্তু, কলকাতা থেকে বাঁকুড়া অনেকটাই দূরে। তাই দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাতেও বিপর্যয় মোকাবিলায় চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিলে রোগীদেরই সুবিধা হবে বলে চিকিৎসক মহল মনে করছে।
মেডিক্যালের অধ্যক্ষ বলেন, বড় বিপর্যয় নাও হতে পারে। কিন্তু, চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা দিতে সবার মানসিক প্রস্তুতি আগে থেকে করে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।