সংবাদদাতা, রানাঘাট: উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। নদীর পূর্ব দিকে রয়েছে শান্তিপুর। নদীর পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র। নদীর পশ্চিম পাড়েই রয়েছে নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৬/১, ৮৬/২, ৮৬/১০ বুথ তিনটি। পঞ্চম দফা ভোট ওই তিন বুথে ভোট করাতে যাবেন কমিশনের কর্মীরা। এজন্য প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে ভোট কর্মীদের। ভাগীরথী নদী পার করে ওই গ্রামে পৌঁছনোর পথ সহজ হলেও নদী পারাপারের কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না কমিশন। রানাঘাটের এসডিও রানা কর্মকার বলেন, ভোটকর্মীরা সড়ক পথেই নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতু পার করে ওই গ্রামে পৌঁছবেন। নদীপথে ইভিএম সহ অন্যান্য ভোট সামগ্রী নিয়ে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে দূরত্ব বেশি হলেও সড়ক পথেই ভোটকর্মীরা বুথে যাবেন।গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি বুথের মধ্যে ১৬টি রয়েছে নদীর পূর্বপাড়ে। তিনটি বুথ রয়েছে নদীর পশ্চিম পাড়ে। ওই তিন বুথে প্রায় আড়াই হাজার ভোটার রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই তিনটি বুথকে পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার সঙ্গে যুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হয়েছে। কিন্তু, আজও তা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা অশোক মাহাত বলেন, ভাগীরথী নদী পারাপার করে শান্তিপুর শহরে যেতে ৬০টাকা গাড়ি ভাড়া লাগে। দিনের পর দিন প্রশাসনিক কাজের জন্য আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।