পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তিনি পৌঁছে যান নবদ্বীপ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে আগে থেকেই দলীয় পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপি প্রার্থী সেখানে পৌঁছতেই কর্মীরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে থাকেন। গাড়ি থেকে সেখানে নামেন তিনি। এরপর দলের কর্মীদের নিয়ে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন। সেখানে চা খেতে খেতে তিনি বেশ কিছু সময় দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। কয়েকজন প্রবীণ নেতার সঙ্গে কথা বলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় শিব মন্দির দর্শন করেন। এরপর তিনি দলীয় কর্মীদের নিয়ে হেঁটে প্রচার শুরু করেন। পুরসভার পাশে হরিজনপল্লিতেও যান। সেখানে বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগের কথাও শোনেন। তাঁরা কী অবস্থায় আছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টিকে একবার সুযোগ দিন।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, আপনাদের সমস্যার সমাধান করব। সেখান থেকে তিনি চলে যান বিষ্ণুপ্রিয়া রেলগেটের কাছে কুটিরপাড়ায়। সেখানে দলীয় কর্মীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। মালঞ্চপাড়ায় মহাপ্রভুর মূর্তিতে মালা দেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী, টোটোচালক এবং পথচারীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। সেখান থেকে নবদ্বীপ হাসপাতালে জখম এক দলীয় কর্মীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক খোঁজখবর নেন। দুপুরে পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মালোপাড়ায় কালীপুজোর প্রসাদ নেন। বিকেলে মায়াপুরে দলীয় বুথ-কর্মীদের নিয়ে সভা করে ইদ্রাকপুর গ্রামে প্রচারে যান। সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যায় নবদ্বীপ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হওয়ায় প্রচারে কিছুটা সমস্যা হয়।
প্রচারের ফাঁকে বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থশঙ্করবাবু বলেন, প্রচারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষের সাড়া পাচ্ছি। নবদ্বীপে সবার আগে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির দরকার। শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান, নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ, মায়াপুরের গঙ্গার ঘাট বাঁধানো ও চওড়া রাস্তা এবং তাঁতশিল্প, কাঁসা-পিতল শিল্প, মৃৎশিল্পের উন্নতি হওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ভোটারদের সামনে তুলে ধরছি। গত কয়েকবছরে মানুষ তৃণমূলকে দেখেছে। এবার রাজ্যে পরিবর্তন হবে। প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছি। নিজস্ব চিত্র