বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের সিএমওএইচ জগন্নাথ সরকার বলেন, বুধবার থেকে নতুন কাউকে করোনার টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলসভাপতি সুজিতবাবু বলেন, সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য আমাদের দলের কিছু ছেলে হাসপাতালে থাকে। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার টিকা নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে স্বপনবাবুও ছিলেন। দু’জনেই প্রথম ডোজ নিয়েছি। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে রয়েছে। তাই আমাদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর কোনও ব্যাপার নেই। স্টকে ছিল। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিয়েছে।
স্বপনবাবু বলেন, সরকারি নির্দেশিকার কথা জানতাম না। করোনার টিকা ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে দেওয়া হচ্ছে জেনেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। নার্সরা যথারীতি নিয়ম মেনে টিকা দিয়েছেন। এতে রাজনীতির কী আছে আমি বুঝতে পারলাম না।
তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিজেপি নেতারা আইন মানেন না। ওদের কালচারই এরকম। যেসব রাজ্যে ওরা ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সরকারি সব ক্ষেত্রে ওরা একছত্র আধিপত্য চালায়। বিষ্ণুপুরে দুই বিজেপি নেতা হাসপাতালের কিছু লোকের সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকা নিয়েছেন। এই অনিয়মের তদন্ত দাবি করব।
বিষ্ণুপুরের স্টেশন রোডের বাসিন্দা মধুসূদন মণ্ডল বলেন, আমি বুধবার টিকা নেওয়ার জন্য হাসপাতালের নির্দিষ্ট ইউনিটে গিয়েছিলাম। সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা বললেন, টিকা নেই। নতুনদের এখন দেওয়া হবে না। তাঁরা ১৬ এপ্রিলের পর খোঁজ নিতে বলেন। কাজ কামাই করে গিয়েছিলাম। টিকা না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। আমার মতো অনেকেই ওইদিন টিকা না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন।
অপর এক বাসিন্দা সুবল পরামানিক বলেন, আমিও বুধবার টিকা নিতে গিয়ে ফিরে এসেছি। পরে শুনলাম বিজেপির দুই নেতা টিকা নিয়েছেন। আমার প্রশ্ন, রাজনৈতিক নেতা বলে ওঁরা যখন যাবেন তখনই টিকা পেয়ে যাবেন। আর আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া বাসিন্দা বলে কি কোনও অধিকার নেই?