পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নির্বাচন কী, কেন হয়, রাজনৈতিক দলই বা কী, কে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, ‘প্রার্থী’-ই বা কাকে বলে সে নিয়ে কোনও বোধ নেই শিশুদের। একাধিক প্রশ্ন হৃদয়ে বাসা বাঁধলেও শিশুরা কেবল বুঝতে পারছে কোনও একটা উৎসব চলছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে বাজনা ও গান বাজিয়ে, বেলুন, ফেস্টুনে সুসজ্জিত হয়ে চলছে প্রচারের মহা উৎসব। কখনও প্রচারের বাজনা ও গানের তালে তালে উদ্যম নৃত্যে মাতছে শিশুরা। আনন্দে উচ্ছাসে ‘খেলা হবে’ বলে চিৎকার করে উঠছে তারা। কী খেলা হবে তা নিয়েও রয়েছে তাদের মনে হাজারো প্রশ্ন। কোথায় খেলা হবে, কার সাথে হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না তারা। কিন্তু তাতে কী! ঢাকঢোলের আওয়াজ শুনে ঘর থেকে ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসছে শিশুরা। প্রার্থীরা হাত জড়ো করে প্রণাম করতেই শিশুরাও প্রণাম বিনিময় করছে। প্রায়ই খুদে শিশুদের কোলে তুলে নিচ্ছেন প্রার্থীরা। আবার কখনও শিশুদের সাথে ‘হ্যান্ডশেক’ করছেন তাঁরা। কখনও গাল টিপে আদরও করছে পথচলতি প্রার্থীরা।
এমন ধারা প্রচারে নজর কেড়েছেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তিনি প্রচারে বেরিয়ে বৃদ্ধাদের যেমন জড়িয়ে ধরে গল্প জমাচ্ছেন তেমনি শিশুদের কোলে তুলে আদরও করছেন। শিশুদের সাথে নানা মজার গল্প করছেন। সায়নী ঘোষের চনমনে চরিত্রটা কচিকাঁচাদের কাছে খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ওই বিধানসভা কেন্দ্রেরই বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলকেও দেখা গিয়েছে শিশুদের কোলে তুলে আদর করতে।
পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রতিটি প্রচারে শিশুদের কোলে নিচ্ছেন ও তাদের সঙ্গে ‘হ্যান্ডশেক’ করছেন, পাশাপাশি গল্পগুজবেও মাতছেন শিশুদের নিয়ে। তাঁর শিশুপ্রেম এলাকাবাসীসহ কর্মী-সমর্থকদের নজর কেড়েছে। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী সুভাষ বাউড়ির প্রচারেও একই দৃশ্য নজর কেড়েছে। ব্যতিক্রম নন দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী দেবেশ চক্রবর্তীও। সমর্থকদের পড়ানো ফুলের মালা তিনি গলা থেকে খুলে শিশুদের পরিয়ে দিচ্ছেন। সমর্থকদের দেওয়া ফুলের তোড়াও শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন তিনি। ওই বিধানসভা কেন্দ্রেরই তৃণমল প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকেও শিশুদের আদর করতে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, শিশুরা সত্ত্বগুণের অধিকারী। শিশুরা দেবসুলভ হয়। তাদের কোলে নেব, আদর করব এটাই স্বাভাবিক। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লক্ষণ ঘোড়ুইকেও দেখা গিয়েছে প্রচারে বেরিয়ে শিশুদের কোলে নিয়ে আদর করতে। সবমিলিয়ে এবার ভোটে যেই জিতুক আর যেই হারুক, শিশুরাই লাভবান।