বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চন্দ্রমল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি প্রথমেই বলেছিলাম লক্ষ্মণ ঘোড়ুই একটা তোলাবাজ। আমার মতো অনেককেই উনি এভাবে টাকা তোলার জন্য চাপ দিতেন। আমাকে বলা হচ্ছে, তৃণমূলের কাছে টাকা খেয়ে আমি এসব বলছি। আমি যে মিথ্যা বলছি না, এই অডিও ক্লিপিংস শুনেই তা বোঝা যাচ্ছে।
ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না লক্ষ্মণবাবুর। তাঁকে দুশ্চরিত্র বলে তাঁর বিরুদ্ধেই নির্দলে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্যনেত্রী চন্দ্রমল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে লড়া নিশ্চিত হওয়ার পরই সোশ্যাল সাইটে তিনি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে তোলাবাজ বলেও আক্রমণ শুরু করেন। পাল্টা বিজেপির তরফে বলা হয়, চন্দ্রমল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের কথায় এসব করছে। এরপরই অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে কীভাবে ‘ক্লায়েন্টে’র কাছে যাবে। সেই ব্যবসায়ী যদি টাকা দেওয়ার আগে লক্ষ্মণবাবুর সঙ্গে কথা বলতে চান, তখন কীভাবে যোগাযোগ করা হবে। লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে এও বলতে শোনা যাচ্ছে, তাঁর ফোনে যেন এসব ফোন না করে তাঁর পিএর ফোনে করা হয়। কথোপকথনে লক্ষ্মণ ঘনিষ্ঠ আরএক বিজেপি নেতার নামও উঠে এসেছে। বাংলার রাজনীতিতে অডিও ক্লিপিংস ভাইরাল নতুন ঘটনা নয়। এবারের নির্বাচনেও একাধিক ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এভাবে একদা জেলা সভাপতি থাকা বিজেপি প্রার্থীর ভোটের আগে তোলাবাজির কথোপকথন ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এ ব্যাপারে লক্ষ্মণবাবু বলেন, অডিওতে পরিষ্কার যে, আমি টাকা নিতে বারণ করছি। ৩০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দুর্গাপুরবাসী জানেন আমি কেমন। এইসব করে কোনও লাভ হবে না। বিজেপি জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, ওই মহিলা তৃণমূলের কথায় আমাদের প্রার্থীকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন। তিনি ষড়যন্ত্র করেও এসব করতে পারেন।
দুর্গাপুর পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, আমি ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একের পর এক যে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসছে তা তো ভয়ঙ্কর। মানুষ বুঝতে পারছেন বিজেপি দলটা কেমন।