রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তিনি বলেন, হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের যে লীলাবৈচিত্র, তাকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর ৩৬টি দেশে মতুয়া মহাসংগঠন গড়ে উঠেছে। বিগত দিনে আমরা এলাকার বিধায়ককে আমাদের পাশে পেয়েছি। যে কারণে রাজনৈতিকভাবে নয়, একজন পাশে থাকার মানুষ হিসেবে তাঁকে সমর্থন জানাই। মতুয়াদের তিনি কখনোই প্রত্যাখ্যান করেননি। কয়েকদিন আগেও মতুয়া সমাজের উন্নতিতে তিনি এগিয়ে এসে সাহায্য করেছিলেন।
নাগরিকত্ব বিষয়টি বর্তমানে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে এর ব্যাখ্যা করছেন। কেউ কেউ বলছেন, নাগরিকত্ব কার্যকরী হলে ক্ষতি হবে। আর এক শ্রেণী এর পক্ষে রয়েছে। সব মিলিয়ে মতুয়াদের যোগ্য সম্মান যারা দেবে, মতুয়া সমাজ তাদের পাশে থাকবে। এছাড়া বর্তমান রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়ে ঠাকুরের জন্মতিথিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। এটা আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। আমাদের বিধায়কের ভূমিকা রয়েছে। সমাজে বহু ধরনের মানুষ রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ আছেন। যাঁরা অর্থের লোভে নিজের পরিবারকে পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে পারেন। সেই সমস্ত মানুষ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। তাঁদের অনেকেই আবার নিজেদের মতুয়া বলে দাবি করেন। অথচ ঠাকুরের দেখানো যে পথ, যে আদর্শ, যে চিন্তা ভাবনা তার সঙ্গে ওদের কোনও মিল নেই। ওরা নিজেদের মুখে মতুয়া বলে দাবি করছে। অথচ মতুয়া সঙ্ঘের সঙ্গে না থেকে অন্য মতে পরিচালিত হচ্ছে। এটা কখনোই ঠিক নয়। সেই সমস্ত মানুষের জন্যই বিতর্ক-আলোচনা সৃষ্টি হচ্ছে।তিনি বলেন, বিগতদিনে রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী, খাদ্যশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীর পাশাপাশি মতুয়া সমাজ পেয়েছে। উপরন্তু শ্রীধাম ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে যা উপকার করেছে তার জন্য আমাদের গর্ব অনুভব হয়। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, এই প্রতিশ্রুতিতে অনেক মতুয়াই কেন্দ্রীয় শাসক দলকে শক্তিশালী করতে অন্ধবিশ্বাসী হয়েছিলেন। যে কারণে অনেকেই সে দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী মানুষ আছেন, যাঁরা বলেন সিএএ বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়। কোনওভাবে তা যদি সম্ভবও হয়, সেক্ষেত্রে পাঁচ-দশ বছরের মধ্যে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন, তাঁদের পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা এখনও অনুধাবন করে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে সার্বিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যে সমর্থন পেয়েছি, তার নিরিখে এবারও আমরা চাই এই সরকার আবারও গঠিত হোক। মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই বার্তা আমাদেরও। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম বিশ্বাস এখনও পর্যন্ত মতুয়া সমাজের কাছে এসে আঞ্চলিক, ব্লক বা জেলা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় বা খোঁজখবর করেননি। এটাতে অনেকের খারাপ লেগেছে।