কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাসিন্দারা বলেন, রাত হলেই হাতির দল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ধান জমিতে নেমে পড়ছে। পায়ে মাড়িয়ে, খেয়ে নষ্ট করছে বোরো ধান। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছুই করা যাচ্ছে না। দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। গত পাঁচ দিন ধরে হাতির দল এই ভাবেই ফসলের ক্ষতি করে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে বাসিন্দারা আগুন জ্বালিয়ে পটকা নিয়ে এলাকা পাহারা দিচ্ছেন। যাতে হাতি জমিতে নেমে ফসলের ক্ষতি করতে না পারে। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হচ্ছে না। দলমার দামালরা বহাল তবিয়তে ধান খেয়ে যাচ্ছে।
খড়্গপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, প্রতিদিনই হাতিগুলিকে কেশিয়াড়ি থেকে বার করে দেওয়ার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু কোনওভাবেই তারা এলাকা ছাড়ছে না। ছোট ছোট জঙ্গল দেখলেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। একটানা না যাওয়ার ফলে তাদের তাড়ানো যাচ্ছে না। একবার তো নদীর ধার থেকে ফিরে চলে আসে। তিনি বলেন, লোক না থাকায় বুধবার রাতে অভিযান চালানো যায়নি। এবার দুটো হুলা টিম নামানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুটো দল এক সঙ্গে কাজ করলে হাতির দলকে ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। নদী পার করে হাতিগুলিকে নয়াগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে আবার অভিযান চালানো হবে। সেখানেও একটি হুলা টিমকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
বন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে ছোট জঙ্গল দেখলেই হাতির দলটি দাঁড়িয়ে পড়ছে। হাতিদের এরকম স্বভাব এর আগে কোনওদিন দেখা যায়নি। অভিযানের সময় হাতির দল একটানা গেলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সহজ হয়। এক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে।