কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সত্তরের দশকে হাওড়ার ব্যবসায়ী তারাপদ সাউ এসে এখানে একটি কড়াই তৈরির কারখানা ও কৃষিখামার গড়েন। একই সঙ্গে বোধনা নিকেতনকে ‘নবীভূতম্’ করার ইচ্ছা জাগে তাঁর। ১৯৭৩ সালে সেবায়তনে সাহিত্য সম্মেলনে আসেন দেশগৌরব আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং নাট্যকার মন্মথ রায়। তারাপদবাবুর আমন্ত্রণে এঁরা আসেন বোধনাতে। স্বাধীনতার ২৬ বছর বাদে এক গরিব, অনুন্নত, পিছিয়ে পড়া মানুষ অধ্যুষিত এলাকায় অকর্মক স্কুলবাড়ি দেখে ওঁদের বুকে বাজে— স্কুল চালু করতে হবে। ৩ জানুয়ারি ১৯৭৩ সালে স্বয়ং সত্যেন বসু নিজে সাফাই কাজে কোদাল ধরেন। তারাপদবাবুর প্রয়াত স্ত্রীর নামে স্কুলের নাম হল, বোধনা লীলাবতী শিক্ষা সদন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সত্যেন বসু ও সুনীতিকুমার। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি এখন ‘জন শিক্ষা প্রসার সমিতি’ নামে একটি সংস্থার অধীনে রয়েছে। অনুমোদন ও প্রতিষ্ঠান চালু রাখার জন্য সংস্থাটি বহু চেষ্টা করেছে, ফলপ্রসূ হয়নি।
জানা গিয়েছে, ১৯৮৫ সালে স্কুলটি চালু করে এই সংস্থা। সেই সময় ঝাড়গ্রামের প্রক্তন বিধায়ক পাঁচকড়ি দের তত্ত্বাবধানে বাঁধগোড়া ও এই স্কুলটির ইন্সপেকশন শুরু হয়। বাঁধগোড়া স্কুলটি অনুমোদন পেলেও এই স্কুল অনুমোদন পায়নি। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এই স্কুলে পঠনপাঠন চালু ছিল। কয়েক বছর আগেই স্কুলের অনুমোদনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কছে আবেদন জানিয়েছে এই সংস্থা। এই স্কুল বন্ধের ফলে বাঁশতলা, বরবাড়ি, গোদারাস্তা, টিয়াকাটি, টুকরুভোলা, নলবনা, জামবেদিয়ায়, দামোদরপুর, হদহদি সহ বিভিন্ন গ্রামের পড়ুয়ারা জঙ্গল পথে ঝাড়গ্রাম, মানিকপাড়া ও বাঁধগোড়ার দূরবর্তী স্কুলে যাতায়াত করে। জনশিক্ষা প্রসার সমিতির কর্ণধার নব্যেন্দু হোতা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা শিক্ষা বিষয়ক কিছু করতে চাইলে করুক। আমরা তাঁদের স্কুলটি ছেড়ে দেব। ভালো কিছু করা দরকার, কেন না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম এই স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা গৃহশিক্ষক দিলীপ মাহাত বলেন, বয়জ্যেষ্ঠদের কাছে শুনেছিলাম, প্রতিবন্ধীদের জন্য এই স্কুল তৈরি হয়েছিল। স্কুলের নামকরণ করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই তথ্য পেয়েছি প্রবাসী পত্রিকা ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ, মাঘ সংখ্যার ৫৫৫ পৃষ্ঠায়। সেখানে স্পষ্ট লেখা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ বোধনা নাম দিয়েছেন।