রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তিনি বলেন, দেশে ১৩০কোটির বেশি মানুষ বাস করেন। অথচ দেশের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের মাত্র এক কোটি ডোজ রেখে বাকিটা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন মোদি। বিদেশের কাছে নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছেন মোদি। তাই, বাংলার থেকে বাংলাদেশে বেশি করোনার ভ্যাকসিন পাঠিয়েছেন।
এদিন বিকেলে কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে কৃষ্ণনগর টাউন হলের মাঠ থেকে ক্ষৌণিশ পার্ক পর্যন্ত রোড শো করেন। রোড শো শেষে ‘দিদির দূত’ গাড়িতে দাঁড়িয়েই কৌশানীকে সঙ্গে নিয়ে টানা ৪০ মিনিট বক্তব্য রাখেন অভিষেক। বক্তব্যের অধিকাংশ সময় বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাজের বিচার করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার অধিকাংশটাই পূরণ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ভাষণ ছাড়া কিছুই দেয়নি। তাই আগামী ২২ তারিখ ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণের দিন সন্ত্রাসের জবাব দিতে বাংলায় শান্তি বজায় রাখতে লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে নিজের ভোট নিজে সঠিক জায়গায় দিন।
২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর ২৫০ বেশি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার সরকার গড়বে বলে উপস্থিতি জনতাকে আশ্বস্ত করেন অভিষেক। তিনি বলেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের তাবড় তাবড় নেতাদের এখন বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে হচ্ছে। এরা নাকি আবার বিশ্বের সবথেকে বড় দল! কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থীর নাম না করে অভিষেক বলেন, আগে চুরি, ডাকাতি, খুনখারাবি করলে জেলে যেতে হতো। কিন্তু এখন চোর, ডাকাত সব বিজেপিতে যায়। এদের হাতে বাংলার সংস্কৃতি তুলে দিলে তা ধ্বংস হয়ে যাবে। কৃষ্ণনগরের শিক্ষিত মানুষ আপনারাই ভাবুন কাকে ভোট দেবেন। একদিনের মধ্যে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে কৌশানীকে ভোট দেবেন নাকি ছোটখাট সমস্যার জন্য দিল্লির অনুমতি নেওয়ার অজুহাত দিয়ে পালাবে সেই নেতাদের ভোট দেবেন।
শীতলকুচির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ওখানে যে চারজন মারা গেলেন তাঁদের একটাই অপরাধ, তাঁরা বাংলা মায়ের গরিব সন্তান। তাঁরা উত্তরপ্রদেশের মতো বহিরাগত নেতাদের কাছে মাথা নোয়াননি। বন্দুকের জোরে ওরা ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ তার জবাব দেবেন। এদিন অভিষেকের বক্তব্যের আগে তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী ছোট বক্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে হয়েই থাকতে চাই। হিন্দু-মুসলিম সকলকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে চাই। আমি নিজে ব্রাহ্মণ হলেও কখনও হিন্দু মুসলিম বাছ-বিচার করিনি। কিন্তু বিজেপি আসলে এসমস্ত করে মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করবে। সেটা হতে দেবেন না।