বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ডেবরার ডুঁয়া ১, ২, রাধামোহনপুর ১, ২, ডেবরা ১, ২, জালিবান্দা, লোয়াদা, খানামোহন সহ পাশাপাশি এলাকায় ফুল চাষ হয়। মুলত গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলের চাষই বেশি হয়। চাষিরা ফুল বিক্রি করতে কোলাঘাট যান। রাতের অন্ধকার থেকে তাঁদের বেরিয়ে পড়তে হয়। নয়তো বাজার পাওয়া যাবে না। আবার বালিচক স্টেশনেও ফুল বিক্রি করার জন্য চাষিরা জমা হন। এখানে ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাঁচি থেকে আড়তদাররা ফুল কিনতে আসেন। মজুত করে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় যেসব ফুল বিক্রি হয় না তা ফেলে দিতে হয়। আবার কোলাঘাট পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলে বাজর পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রেও ফুল ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তাই তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে একটা বাজারের দাবি করে আসছেন।
পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কর বলেন, এই বাজার তৈরির জন্য রাজ্য সরকার প্রথম পর্যায়ে ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও টাকা বরাদ্দ করবে। প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ টাকার কাজ চলছে। ব্যবসার সুবিধার জন্য স্টেশনের পাশে রঘুনাথপুরে এই বাজার তৈরি করা হচ্ছে। এখানে যেমন ফুল বিক্রি জন্য খোলা জায়গা থাকবে, তেমনই দোকান ঘরও করা হবে। চাষিরা এসে খোলা জায়গায় পসরা সাজিয়ে বিক্রি করে চলে যাবেন। তাঁদের আর বালিচক স্টেশনে ফুল নিয়ে বসতে হবে না। আর দোকান ঘরে স্থায়ী ব্যবসা হবে। তিনি বলেন, ছোট হিমঘরও করা হচ্ছে। সেখানে চাষিরা অবিক্রিত ফুল রাখতে পারবেন। ফেলে দিতে হবে না।
ফুলচাষি রামকৃষ্ণ অধিকারী ও দীপক বরম বলেন, ডেবরায় এখন যে হারে ফুলচাষ বাড়ছে তাতে একটা ফুল মার্কেটের খুবই প্রয়োজন ছিল। এর ফলে ভালো ব্যবসা হবে। বিশেষ করে হিমঘরের ব্যবস্থা থাকলে আর ফুল নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। এই বাজার হলে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থারও উন্নতি হবে।