পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আইওসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পারাদীপ-হলদিয়া-দুর্গাপুর ৬৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্যাস পাইপ লাইন বসাতে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পেট্রলিয়াম ও মিনারেল পাইপলাইন (জমিতে ব্যবহারকারীর অধিকারের অধিগ্রহণ) নিয়ম ১৯৬২ সালের আইন অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার কোটি টাকা। এই পাইপ লাইন মারফৎ বছরে পাঁচ লক্ষ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্যাস পারাদীপ ও হলদিয়া শোধনাগার এবং ইন্ডিয়ান অয়েল পেট্রনাস টার্মিনাল থেকে বালাসোর, বজবজ, কল্যাণী ও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বটলিং প্ল্যান্টে সরবরাহ করা হবে। নিরাপত্তার জন্য ও খরচ কমাতে গাড়ির বদলে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। করোনা ও লকডাউনের জন্য এই কাজ বছর খানেক থমকে ছিল। ফের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে আইওসি।
আইওসি পাইপ লাইন ডিভিশনের বক্তব্য, বর্ষার আগে চাষের মাঠে মাটির পাঁচ মিটার গভীরে পাইপ বসানোর কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু চাষিদের বাধায় কাজ থমকে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের ভূমি ও কৃষি দপ্তরের নিয়ম মেনেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি আইওসির। বেশির ভাগ চাষি ক্ষতিপূরণ নিলেও বাড়সুন্দরার চাষিরা প্রশ্ন তুলছেন। অভিযোগ, সেখানে আইওসির আধিকারিকদের মারধর করতেও উদ্যত হন চাষিরা। ফলে নিরাপত্তার কারণে তাঁরা সেখানে আলোচনার জন্য যেতে ভয় পাচ্ছেন। চাষিরা বলেন, জমির জন্য ডেসিমেল পিছু ১৯ হাজার ৫০০ টাকা ও ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ডেসিমেল পিছু ১১ হাজার ৫০০ টাকা ধার্য হয়েছে। জমির যে অংশ দিয়ে পাইপ লাইন যাবে তত ডেসিমেলের জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, আইওসি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের এই হিসেবের সরকারি কোনও নথি চাষিদের দিচ্ছে না। তাঁরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা লিখলেও তাদের নথিতে ক্ষতিপূরণের টাকার অঙ্ক লিখতে না চাওয়ায় শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। ফলে আইওসির দেওয়া প্রকৃত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রিন্টেড চেকের বদলে চাষিদের হাতে লেখা চেক দেওয়া নিয়েও অভিযোগ উঠেছে।
তাঁরা বলেন, চাষিরা শিল্পের বা আইওসির বিপক্ষে নয়, কিন্তু দালালচক্রের বিরুদ্ধে। যে প্লটের তলা দিয়ে পাইপ লাইন পাতা হচ্ছে সেখানে চাষ ছাড়া অন্য কিছু করা যায় না। ফলে জমির দাম কমে যায়। তাঁদের দাবি, বাড়সুন্দরার বহু জমি মালিকের হাই ভ্যালুয়েশন দলিল থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সঠিক দাম দেওয়া হচ্ছে না।