বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূল নেতা তথা দুর্গাপুরের মেয়র পরিষদ সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, চিকিৎসার জন্য বাইরে রয়েছি। তবে ওই কর্মসূচির কথা জানা ছিল না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দল করি। তাই মিছিল করেছি। ভোটেও খাটব। যদিও এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তৃণমূল প্রার্থী বা তাঁর ছায়াসঙ্গী দুর্গাপুরের মেয়র পরিষদ সদস্য ধর্মেন্দ্র যাদব।
তৃণমূলের গলায় যখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা, তখন বিজেপির দ্বন্দ্ব আরও গভীরে। গোপালমাঠের অলিগলি বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের ফ্লেক্স, ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফ্লেক্স, ফেস্টুনে বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি পঙ্কজ গুপ্তার নাম লাল কালিতে মোছা রয়েছে। কেন এমন অবস্থা? গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে থাকা এক বিজেপি কর্মীর দাবি, এখানে এসে গোপলামাঠকে অপমান করলে আমরা মেনে নেব না। তাই উনি এখানে ঢুকতে পারেন না। সব জায়গা থেকে ওঁর নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই গোপালমাঠ জলট্যাঙ্কিতে বিজেপিরই দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। মেনগেটের ওই নেতাকে মেনে নিতে পারছেন না গোপলামাঠের নেতারা।
ধুনারা, মেঝেডি, বনগ্রাম সহ আটটি গ্রাম উঠে এসে গোপালমাঠ গড়ে ওঠে। ওই গ্রামের জমিতে ডিএসপি গড়ে উঠেছে। ডিএসপির জমিদাতা হিসেবে এই এলাকার মানুষের গর্ব রয়েছে। আবার ক্ষোভও প্রচুর। তাঁদের দাবি, কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হন এই এলাকার মানুষই। গোপালমাঠের ধুনারা এলাকায় বাসিন্দারা বলেন, ডিএসপিতে এসে বীরভূম, মুর্শিদাবাদের লোক কাজ করছেন। অথচ জমিদাতা পরিবারের বংশধররা বেকার। কাজ না পাওয়ায় মানুষ বিজেপির দিকেই ঝুঁকেছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ওদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই এলাকাতেই তিনটি গ্রুপ। মাঝে মধ্যে মারামারিও হয়। এক বিজেপি কর্মী বলেন, আমরা এলাকার মানুষের কাজ চাই। মানুষ তাই ভরসা করছিল। কিন্তু একজন মেনগেটের নেতা বলেছেন বাইরে থেকেই লোক ঢোকাবেন। তাই প্রতিবাদ হয়েছে। ক্ষমতায় না এলেও কারখানায় লোক ঢোকানো নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। গোপালমাঠ বাজারে বসেছিলেন দুই বৃদ্ধ। একজন এএসপি, অপরজন ডিএসপি থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁরা বলেন, বিজেপি কাকে আর কাজ দেবে। ওরা তো কারখানাই বিক্রি করে দেবে। বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, একটা সমস্যা হয়েছিল। দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে তা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।