কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রভাব পড়েছে রাজ্যেও। দৈনিক সংক্রমণ পাঁচ হাজার ছুঁই ছুঁই। করোনার প্রথম আক্রমণের সময়েও এই ভয়াবহতা দেখা যায়নি। করোনার গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন বাংলায় ভোটের উত্তেজনাও পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। ভোট প্রচারে প্রার্থী থেকে নেতা নেত্রী কারও করোনা নিয়ে চিন্তা নেই। উল্টো পথে হেঁটে করোনা নিয়ে গ্রামেগঞ্জে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে তৎপর তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার। তাই তো গোপালপুর হোক বা মলানদিঘি অথবা আমলাজোড়া, প্রচারে এসে করোনা নিয়ে মানুষকে সতর্ক করছেন তিনি। দুর্গাপুর শহরেও প্রচারে বেরিয়ে এনিয়ে কথা বলছেন অভিজ্ঞ এই কৃষি উপদেষ্টা। তিনি প্রার্থী তাই মাস্ক নামিয়ে মুখ দেখাতেই হচ্ছে। কেউ হাত বাড়ালে হ্যান্ডসেকও করতে হচ্ছে। কিন্তু অন্যদের এনিয়ে সতর্ক করছেন। এবার বাড়ি বাড়ি এনিয়ে গ্রিটিংস কার্ড পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ডের এক পৃষ্ঠায় যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার আর্জি রয়েছে, তেমনই লেখা রয়েছে অবশ্যই মাস্ক পরুন, দয়া করে দূরত্ববিধি বজায় রাখুন, বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। অন্য পৃষ্ঠায় আবার এএসপি, ডিএসপির বিলগ্নিকরণ রুখে দুর্গাপুরকে বাঁচানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। শুভেচ্ছার গ্রিটিংস কার্ডের মাধ্যমে বাড়ির অন্দরে ঢুকে যেতে মরিয়া তৃণমূল প্রার্থী।
সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তে গ্রিটিংস কার্ড এখন অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে। সেই কার্ডকেই নতুন করে সামনে এনে ভোটাদের আবেগ তুলতে চান তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর নানান অভিনব প্রচার কৌশলই বলে দিচ্ছে, গতবার রাজনৈতিক লড়াইয়ের যে অনভিজ্ঞতা ছিল, এবার তা ঝেড়ে ফেলে দুঁদে নেতার মতোই ভোটারদের মন পেতে তাঁদের পালস বুঝেছেন প্রদীপবাবু।
দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীও করোনা নিয়ে সতর্ক। তিনি বলেন, আমাদের তো মুখ দেখাতেই হচ্ছে। কেউ আবেগ নিয়ে হাত বাড়াচ্ছেন। আমি তো হাত না মিলিয়ে থাকতে পারি না। তবে যেভাবে করোনা বাড়ছে আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে।