পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নানুর থানার পুলিস তৎপরতার সঙ্গে বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছেন বেশ কয়েকবার। তবুও যেভাবে বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় টহল চলছে বলে জানিয়েছেন নানুর থানার এক আধিকারিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুর বিধানসভা ঘিদহ এলাকায় রাতভর বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, সোমবার সকালে ওই এলাকায় প্রচার করার কথা নানুর বিধানসভার প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার। তিনি যাতে ওই গ্রামে গিয়ে প্রচার করতে না পারেন, তার জন্য বিজেপি কর্মীদের আতঙ্কিত করতে বোমাবাজি করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। প্রায় প্রতিদিন নানুর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহা বলেন, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের সর্মথকরা প্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছেন। সোমবার সকালে নানুরের ঘিদহ এলাকায় আমার প্রচারের কথা ছিল। মিলেছিল পুলিশের অনুমতিও। কিন্তু সারারাত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেখানে বোমাবাজি করে। এমনকী বুথ দলের সভাপতি বাবলু মোল্লা ও সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শেখ শহিদুলের বাড়িতেও বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরকমভাবে বোমাবাজি, কখনও গুলি চালিয়ে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই নজিরবিহীন বর্বরতাকে আমরা ধিক্কার জানাই। যতই সাধারণ মানুষ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আতঙ্কিত করুক তৃণমূল সব জবাব তাঁরা নির্বাচনেই পাবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন এই সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে নানুর বিধানসভার সিঙ্গি, বেজরা, মাধপুর, মহাদেবপুর, বড্ডে প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারের কাজ হয়েছে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছেন।
যদিও সমস্ত ঘটনাকে মিথ্যা ও পূর্বপরিকল্পিত বলে জানিয়েছে শাসকদল। তৃণমূলের বোলপুর ব্লক সভাপতি আব্দুল রহিম চৌধুরী বলেন, ঘিদহ গ্রাম অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। অধিকাংশ মানুষই তৃণমূলকে সমর্থন করেন। তাই বিজেপির এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই এলাকায় বিজেপি প্রার্থী হয়ে ঢুকতে না পেরে মিথ্যা কথা রটাচ্ছেন প্রচার পাওয়ার আশায়। গত নির্বাচনে এ গ্রাম থেকে তৃণমূল অনেক ভোটে এগিয়ে আছে। বিজেপি প্রার্থী হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজের দলের কর্মীদের উস্কানি দিচ্ছেন বোমাবাজিতে। বিজেপি দলের কর্মীরাই বরং যুক্ত বোমাবাজির ঘটনায়। উনি চাইলে প্রচার করতে পারেন তৃণমূল কোনওভাবেই তাঁকে বাধা দেবে না।
বোমাবাজির ঘটনায় নানুর বিধানসভার সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান বলেন, সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করতে বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলই বোমাবাজি চালাচ্ছে। নানুরের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলে আমিই জয়ী হব। তৃণমূল ও বিজেপি কার্যত দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের জন্য লড়ছে। ঘিদহ এলাকা নানুর বিধানসভা অন্তর্গত হলেও ভৌগোলিকভাবে বোলপুর থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই বোমাবাজির খবর পেতেই রাতভর অভিযান চালায় বোলপুর থানার পুলিস। গতরাত থেকে গ্রামে মোতায়েন রয়েছে পুলিস। ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষের মোট সাতজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বোলপুর থানা সূত্রে। নানুরের ঘিদহে একটি বাড়ির দেওয়ালের ধারে বোমাবাজির চিহ্ন। -নিজস্ব চিত্র