কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এভাবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত তদন্ত করে দেখছে নানুর থানার পুলিস। কোনও নাশকতার উদ্দেশে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। নির্বাচনের আগে বারবার নানুর বিধানসভায় যেভাবে বোমাবাজি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে তাতে পুলিসের ভূমিকা ও প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করেছে বিজেপি। নানুরের বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার অভিযোগ, মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করতে চাইছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের জমানায় বোমা ও বন্দুকের কারখানা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বীরভূম জেলা। ভোট যাতে শান্তিতে না হয় তার জন্য তৃণমূল চক্রান্ত করে চারদিকে বোমাবাজি করে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করতে চাইছে। এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তার জবাব দেবে।
যদিও নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, যে কমিউনিটি হলে বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে তার চাবি স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে রাখা থাকত। কেউ ওই চাবি লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে বোমা তৈরির কাজ করছিল। পুলিস যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা এলাকার বা তৃণমূল লোক নয়। বিজেপি বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে এনে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বোমা তৈরি করে মজুত করছিল। বীরভূমের পুলিস সুপার মিরাজ খালিদ বলেন, খবর পেয়ে বোমা উদ্ধারের পাশাপাশি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উদ্বার হওয়া বোমা ফাটিয়ে দেয় বম্ব স্কোয়াড। (ইনসেটে) উদ্ধার হওয়া বোমা। -নিজস্ব চিত্র