বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রতারিত ব্যাঙ্ক অফিসার বলেন, চাকরি জীবনে আমি বহু গ্রাহককে সতর্ক করেছি। ব্যাঙ্কের কোনও তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছি। আর অবসরের পর আমি প্রতারকের খপ্পড়ে পড়লাম। আমাকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল সংস্থার অফিসার পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয়। সেই অফিসারের নাম বলা হয় আমাকে। তিনি আমার পরিচিত। তিনি আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন ভেবে অ্যাপ ডাউনলোড করি। আর তাতেই সর্বনাশ হল। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার কিনারায় সাইবার থানার সাহায্য নেওয়া হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের ক্ষুদিরামপল্লিতে বছর চৌষট্টির অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যাঙ্ক অফিসারের বাড়ি। বুধবার তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। তাতে তাঁর সিম সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তাঁকে একটি মোবাইল নম্বরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফোন করতে বলা হয়। সরল বিশ্বাসে তিনি সেই নম্বরে ফোন করেন। তাঁকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। তিনি তা করেন। এরপর তাঁকে ১০ টাকা দিয়ে রিচার্জ করতে বলা হয়। তিনি অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে রিচার্জ করেন। প্রতারক তাঁর কাছ থেকে ওটিপি জানতে চায়। তিনি তা দিয়ে দেন।
এরপরই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় থাকা তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকা ও পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইমতো তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কীভাবে অ্যাকাউন্টের তথ্য ও মোবাইল নম্বর প্রতারকদের কাছে পৌঁছচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রতারিতরা। এ ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।