পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমায়ন সাহেব রেজিনগরে প্রার্থীর দাবিদার ছিলেন। বিজেপি থেকে ফিরে আসার পর তিনি নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন। এলাকার বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত। বারবার বিধায়ককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে দলকে বিপাকে ফেলেছিলেন। তবে তাঁকে ভরতপুরে প্রার্থী হিসেবে পাঠিয়ে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বও ছক্কা হাঁকিয়েছেন। হুমায়ুন সাহেব বলেন, রেজিনগর নিয়ে আমি আর কথা বলব না। তবে, গোলকিপার যদি গোল রক্ষা করতে না পারে, তার দায় তো আমার নয়। দিদি আমাকে যে কেন্দ্রে প্রার্থী করেছেন, সেখানে জয়ী হয়ে দলকে উপহার দেব।
ভরতপুরে কীভাবে কাজ করছে হুমায়ন সাহেবের টিম? তাঁর শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, টিমের সদস্যদের প্রতিটি পঞ্চায়েতের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বুথ স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছেন। এলাকার নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। ‘দাদা’ জিতলে এলাকায় কী কী হবে, সেটা তাঁরা বুঝিয়ে বলছেন। এছাড়া রাজ্য সরকারের প্রতিটি প্রকল্পের সাফল্যের দিকগুলি তুলে ধরছে। এক নেতা বলেন, টিমের বহু সদস্যের আত্মীয় ভরতপুরে রয়েছেন। যাঁর যে গ্রামে বেশি আত্মীয় রয়েছেন, তাঁকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে প্রচারের পাশাপাশি এলাকায় গিয়ে ছোট ছোট বৈঠকও করছেন। দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে।
হুমায়ন সাহেব বলেন, নিজেদের দলের কেউ সমস্যা হবে না। টিমের সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়েই কাজ করবেন। আমিও এখানকার নেতাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। দলের এক নেতা বলেন, ময়দান চেনা না হলে যত ভালোই খেলোয়াড় হোক না কেন, জেতা খুব কঠিন হয়।
এলাকার বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা কমলেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উনি তো বাইরের লোক। এখানে এসে কী খেলবেন? ওসব নিয়ে আমাদের কোনও কিছু বলার নেই।
তবে এতদিন যাঁরা হুমায়ন সাহেবর সঙ্গে রাজনীতি করে এসেছেন, তাঁরা বলছেন, তিনি অত্যন্ত দক্ষ কোচ। অপরিচিত মাঠ হলেও খেলোয়াড়দের কীভাবে কাজে লাগাতে হবে, সেটা ভালোই জানেন। তাই এবার ভরতপুরের মাঠ অন্যরকম খেলা দেখবে। তৃণমূল প্রার্থী বলছেন, খেলা আমার খুব ভালো লাগে। তবে বিপরীত দিকে ভালো খেলোয়াড় না থাকলে জমে না। ভরতপুরে সেরকম খেলোয়াড় আছে বলে মনে হচ্ছে না।