কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পশ্চিম বর্ধমানের সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা রানিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় ভোটার পিছু আট আনা চাওয়ার কাজ পরীক্ষমূলকভাবে শুরু করেছিলাম। তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। জেলার অন্যত্রও এই কর্মসূচি নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে দফায় দফায় মানুষের বাড়ি যাওয়া হচ্ছে। বহু মানুষ আমাদের স্বাগত জানাচ্ছেন।
বাম জমানায় বামেদের ভোটের রণকৌশল প্রশ্নাতীত ছিল। হার্মাদদের দিয়ে ভোট লুটের যেমন অভিযোগ ছিল, তেমনই মানুষের মনে স্থায়ী জায়গা করতে বছর ভর তাদের কর্মসূচি সংগঠনকে ব্যাপকভাবে মজবুত করেছিল। তাদের প্রচারের বড় মাধ্যম ছিল পার্টি ফান্ডের অর্থ সংগ্রহের জন্য কৌটো নিয়ে বাজার ও বাড়ি বাড়ি যাওয়া। সেই আমলে বহু সাধারণ মানুষের কাছে তা বিরক্তিকর মনে হলেও সেই রাস্তা থেকে সরে আসেনি বামেরা। আগে কুপন কেটেও চলত অর্থ সংগ্রহ। এর কারণ হিসেবে নেতাদের বক্তব্য, এতে শুধু অর্থ সংগ্রহ নয়, সেই মানুষটি দল সম্পর্কে কী ভাবছে, তাও পরিষ্কার হতো। তাই সমালোচনা সত্ত্বেও এই কর্মসূচি বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাম নেতৃত্ব। একে একে কর্মসূচি কাটছাঁট হয়। ধীরে ধীরে প্রায় উধাও হয় বামেদের কৌটো নাচানো সংস্কৃতি। এমনকী এভাবে জনসংযোগের পাশাপাশি, ভোটের আগে অঙ্ক কষাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার মূল্য চুকিয়েছে বামেরা। লোকসভায় তাদের ভোট ১০ শতাংশের নীচে নেমে যায়। এবার সেই ভোট ফিরিয়ে আনতেই সবরকম রণকৌশলই প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ বিধানসভা এলাকাতেই আট আনা কর্মসূচির প্রয়োগ হচ্ছে। যার বাড়িতে চারজন ভোটার রয়েছেন, ভোটে বুথের খরচ বাবদ তাঁদের কাছ থেকে পঞ্চাশ পয়সা করে মোট দু’টাকা দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এই মিনতিতে কার্যত হতবাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কারণ এখন ভিখারিও ৫০ পয়সা নেন না। এই অবস্থায় সিপিএমের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের চাহিদার থেকে বেশিই দিচ্ছেন অনেকে। একইভাবে কুপন ছাপিয়ে ভোটের খরচ চালানোর জন্য সাহায্য প্রার্থনা করা হচ্ছে। তবে তাদের আবেদনে কারা সাড়া দিচ্ছেন, কারা প্রত্যাখ্যান করছেন, কে বেশি সাহায্য করছেন, সবটাই খাতায় নথিভূক্ত করা হচ্ছে। এভাবেই ভোটারদের মন বুঝছে বামেরা। এর পাশাপাশি প্রচারপত্র সহ নানা বিষয় নিয়ে দফায় দফায় ভোটারদের বাড়ি যাওয়া শুরু করেছে তারা।