কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি মহুয়া জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই জেলা সংগঠনকে ঢেলে সাজা শুরু করেন। বুথ কমিটিগুলিকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন জায়গায় নতুন বুথ কমিটি গঠন, কর্মীদের হাতেকলমে কাজ শেখানো শুরু করেন। এর ফলে দলীয় কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ দেখা যায়। কারণ তারা আগে নিজের মতো করে সভা-সমাবেশ করলেও, সংগঠন সাজালেও জেলা সভাপতির মতো দলীয় সংগঠনের কাজ করেননি। তাছাড়া মহুয়া নিজে বরাবর বলে আসছেন যে, তিনি নেতাভিত্তিক দলের থেকে সংগঠনভিত্তিক দলে বেশি বিশ্বাসী।
কারণ কর্মীরাই দলের আসল সম্পদ। তারাই ভোট করায়। তাই বিধানসভা ভোটের বাদ্যি বাজতেই ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে নিয়ম করে দ্বিতীয় দফায় জেলার বিধানসভা ভিত্তিক অঞ্চল ও সভাপতি থেকে শুরু করে বুথ কর্মীদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক করে চলেছেন। কার্যত ঘড়ির কাঁটা ধরে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দশটার মধ্যে দিনের প্রথম বৈঠক শুরু করছেন এবং শেষ বৈঠক করছেন বিকেল তিনটের সময়। কারণ তিনি সময় মেনে চলতেই ভালোবাসেন। করিমপুরের মিছিল, হরিণঘাটা, কল্যাণী, রানাঘাট, কৃষ্ণনগরের বৈঠকগুলিতে তাঁকে ঘোষিত সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগেই ঢুকতে দেখা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, মাঝে শান্তিপুরের বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক বৈঠকে দলীয় কর্মীরা দেরিতে আসায় তিনি তাঁদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে শিক্ষা দেন।
রানাঘাট এলাকার এক তৃণমূল বুথ সভাপতি বলেন, দিদি বৈঠকে নির্দিষ্ট সময়ে ঢোকার পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরা কীভাবে প্রচার করব, কতটা বক্তব্য রাখব বা বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু কী হবে তা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছেন।
নগরউখড়ার এক তৃণমূল বুথ সভাপতি বলেন, বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক তা সকলের জানা। তাই মহুয়াদি বলে দিয়েছেন, বুথভিত্তিক কর্মিসভা করার সময় মঞ্চে বক্তব্য দীর্ঘায়িত হবে না। ১০-১২মিনিট বক্তৃতা হবে। যার ৯৫ শতাংশ সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি তুলে ধরা হবে। বাকি পাঁচ শতাংশ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা থাকবে যা নির্দিষ্ট ও সঠিক উদাহরণ দিয়ে।
কারণ বর্তমান সময়ে মানুষ দীর্ঘক্ষণ ভাষণ শুনতে চায় না। সময় এবং ধৈর্যও অনেক কম। তাই মঞ্চে সময় কম দিয়ে পাড়া বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতি।
একইসঙ্গে বুথ সভাপতি এবং কর্মীদের সঙ্গে অঞ্চল থেকে ব্লক, জেলা নেতৃত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরফলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের ভরসা ও আস্থা বাড়বে বলেও জেলা সভাপতি বিশ্বাসী।