বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, প্রার্থীর থাকার জন্য শহরের মধ্যেই একটি বাড়ি দেখা হয়েছে। সেই বাড়ির নিচে গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি অফিস করার পরিকল্পনাও রয়েছে। তাঁর নির্বাচনী কাজকর্ম পরিচালিত হবে জেলা পার্টি অফিস থেকেই। তবে তাঁর থাকার জন্য আপাতত একটি বাড়ি দেখা হয়েছে। ভোটে জেতার পর তাঁর স্থায়ীভাবে থাকার জন্যও ব্যবস্থা করা হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বাঁকুড়ায় এবার প্রার্থী তালিকায় চমক দিয়েছে দল। সম্প্রতি টলিউডের অভিনেত্রী সায়ন্তিকা তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরই তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে প্রার্থী তালিকায় স্থান দিয়েছেন। বাঁকুড়ায় এবার বিশেষ চমক ওই সায়ন্তিকা। বাংলা চলচিত্রে পরিচিত এই মুখ বাঁকুড়ায় ভোটের বাজি মাতাতে দু’-একদিনের মধ্যেই চলে আসবেন। বাঁকুড়ায় তাঁর থাকার জন্য দলের নেতাদের পাশাপাশি পিকে টিমের সদস্যরাও বাড়ি খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন। রবিবার সায়ন্তিকার সঙ্গে যোগাযোগ না করা গেলেও তাঁর ঘনিষ্টদের দাবি, অভিনেত্রী সহজ জীবন-যাপন করেন। তাই বাড়িতে পরিকাঠামো নিয়ে বিশেষ কোনও চাহিদা নেই। দল যে বাড়ি খুঁজছে সেখানেই তিনি থাকবেন।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ায় প্রার্থী হিসাবে অভিনেত্রীর নাম ঘোষণা হতেই বিভিন্ন মহলে নানা রকম চর্চা শুরু হয়। ‘বহিরাগত’ প্রার্থী হিসাবেও অনেকে দেখতে শুরু করেছেন। কিন্তু বহিরাগত তকমা যাতে না লাগে সেইজন্য হোটেল নয়, বাড়িতে অভিনেত্রীকে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে দল। তাছাড়া অভিনেত্রী যেদিন আসবেন সেদিন তাঁকে স্বাগত জানাতে বিশেষ মিস্টি উপহার দেবেন দলের কর্মীরা।
এব্যাপারে বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্শন অলকা সেন মজুমদার বলেন, একটি অভিনব মিস্টি তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে লেখা হয়েছে বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। ওই মিস্টি দিয়ে আমরা প্রার্থীকে স্বাগত জানাব। তিনি বাংলার মেয়ে। তাই সেই বার্তা দিতেই এই মিস্টি করানো হচ্ছে।