বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে বক্তব্যর আগাগোড়া মোদিকে আক্রমণ করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, দশ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আর মোদি তুমি আট বছরে কী উন্নয়ন করেছ বল? তুমি মিথ্যাবাদী। তুমি শুধু দেশের সম্পদ বিক্রি করতে জানো। নরেন্দ্র মোদির দল ভয়ঙ্কর বিষধর দল। এরা দেশের জন্য কিছু করেনি। তোমরা শুধু রাম রাম করছ। রাম রাজ্যে তেলের দাম একশো টাকা। তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে এখন তেলের দাম ২৮ টাকা। তাহলে এই দেশে এত দাম কেন? আর গ্যাস ৮৬০ টাকা? তোমরা মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছ। তুমি ভাঁওতাবাজ প্রধানমন্ত্রী। জিডিপির হার যত কমছে, মোদির দাঁড়ি তত বাড়ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা সবেতেই এগিয়ে গিয়েছে এই রাজ্য। তাই আপনাদের বলছি, ভুল বুঝবেন না। দিদিকে বাংলার দরকার। বাংলার যে আরও উন্নয়ন করতে হবে। দশবছর মাত্র সময় পেয়েছি, আরও দশবছর যদি সময় পাই তাহলে বাংলাকে আমরা সাজিয়ে তুলব। সেই সময়টা যেন আমরা দিই। মহিলাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুনছি নাকি সেন্ট্রাল ফোর্স এসে বলতে পারে বিজেপিকে ভোট দেবেন। আশা করি বলবে না। যদি বলে, আপনারা রুখে দাঁড়াবেন। একটুও ভয় পাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের পাশে থাকবেন। আর যদি টাকা দেয়, নিয়ে নেবেন। টাকা ওদের বাবার নয়। জোড়হাত করে বলছি, ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেবেন।
অনুব্রতবাবুর অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, বিরোধীরা তো বিরোধিতা করবেই। তবে নরেন্দ্র মোদি আট বছরে কী করেছেন তা মানুষ জানেন। ওরা ১০বছরে একটিও প্রকল্প করতে পারেনি। কেন্দ্রের প্রকল্প নাম পাল্টে চালাচ্ছে। ওদের মুখে এর চেয়ে বেশি আশা করা যায় না।
এই কেন্দ্রে আগের বারের বিধায়ক নরেশ বাউরির পরিবর্তে এবার অসীমা ধীবরকে প্রার্থী করা হয়েছে। এনিয়ে শুক্রবারই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নরেশবাবু। ফলে এদিনের সভায় তিনি থাকবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা ছিল। যদিও সবাইকে অবাক করে এদিন সভার মঞ্চে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এমনকী নতুন প্রার্থীর সঙ্গে সবার পরিচয়ও করিয়ে দেন। পরে অবশ্য চেয়ারে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পরে বক্তব্য রাখতে গিয়েও তিনি বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
টিকিট না পেয়ে নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন শামসের তৃণমূল ছাড়ার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রতবাবু বলেন, কী বয়ে গেল। যার মন হবে থাকবে, যার মন হবে না সে চলে যাবে। অসুবিধার কী আছে। এসবকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না। এবার জেলার সবকটি আসনই তৃণমূল পাবে।