রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এলাকার বিধায়ক ভূমিপুত্র বিদ্যানগর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দেবনাথ ফের পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে স্বপনবাবু নিজের বাড়িতে ঠাকুমা, ঠাকুরদা, বাবা-মায়ের প্রতিকৃতিকে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করেন। এলাকার চায়ের দোকান থেকে স্থানীয় বাজারে জনসংযোগ করেন। কালনা-১ ও পূর্বস্থলী-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃত্বদের নিয়ে আলোচনা সারেন। তিনি বলেন, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানকে সামনে রেখে উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই প্রচার চালানো হবে।
রায়না বিধানসভার প্রার্থী হয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। এদিন তিনি রায়না-২ ব্লকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ যাত্রা করেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভোট প্রচার শুরু হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু হবে।
বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী নিশীথ মালিক এদিন তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের নিয়ে দুটি কর্মিসভা করেন। হাটগোবিন্দপুরে কর্মিসভা থেকে তিনি বলেন, প্রার্থীতালিকা দেখেই আদিবাসী অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই কারণেই প্রচারেও তাঁদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনগ্রসর শ্রেণির জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, প্রচারে সেগুলি জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্ধমান দক্ষিণের প্রার্থী খোকন দাস শনিবার সকাল থেকেই একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। এলাকার বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। ভোটে একসঙ্গে যাতে কাজ করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। সন্ধ্যাবেলায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাজনৈতিক মিছিল করেন।
খণ্ডঘোষের তৃণমূল প্রার্থী নবীনচন্দ্র বাগও প্রচারে নেমেছেন। তিনি এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক। প্রার্থীপদ পাওয়ার পর মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এদিন তিনিও দেওয়াল লিখে প্রচার সারেন। মেমারির তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন ভট্টাচার্য টিকিট পাওয়ার পর থেকে সংগঠনের ফাঁকফোকর মেরামতে নজর দিয়েছেন।
ভাতারের তৃণমূল প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী এদিন প্রচারে নামেন। দেওয়াল লিখনে কর্মীদের উৎসাহ দেখা যায়। তিনিও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। উন্নয়নকেই সামনে রেখে মানুষের কাছে ভোট চাইবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী অলোক কুমার মাজি এদিন জনসংযোগ বাড়াতে শিবমন্দিরে ভোগ খান। জামালপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও যুব নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও সেরে নেন।
এদিন ক্ষীরগ্রামে সতীপীঠ যোগাদ্যা মন্দিরে অনুগামীদের নিয়ে পুজো দিতে যান মঙ্গলকোটের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরী। তারপরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে প্রচার করেন।
খোশ মেজাজে দলীয় কর্মীদের নিয়ে জামালপুর বুড়োরাজের মন্দিরে পুজো দেন পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তপন চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া গুসকরা শহরে মা রটন্তী কালীমন্দিরে পুজো দেন আউশগ্রাম বিধানসভার প্রার্থী অভেদানন্দ থাণ্ডার। তিনিও কালীমন্দিরে পুজো দিয়েই প্রচার শুরু করেন।
কালনার প্রার্থী দেবপ্রসাদ বাগ শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পুজো দিতে যান। সেখান থেকে ফিরে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জোরকদমে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে তিনি জানান। মন্তেশ্বরে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী রবিবার থেকে এলাকায় প্রচারে ঝাঁপাবেন।