কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অনুব্রতবাবু বলেন, কমিশনের ক্যামেরাম্যান থাকল তো কী হল? আমার কিছু বয়ে গেল নাকি। আমি যে কথা বলি, একটাই কথা বলি। আমি গর্জাই তবু ভাঙি না। এদিন গুসকরা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্পোর্টিং গ্রাউন্ডে অনুব্রতবাবুর মহিলা সমাবেশ ছিল। সমাবেশস্থল জনজোয়ারে ভাসে। কাতারে কাতারে মহিলারা যোগ দেন সেখানে। অনুব্রতবাবু বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, আট বছরে তুমি ভারতবর্ষকে কী দিয়েছ? বাংলার প্রতি তোমার এত লোভ কেন? তোমাকে কেন মানুষ ভোট দেবে? তুমি মানুষের জন্য কি করেছ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য চিন্তা করে। দশ বছরে তিনি রাজ্যের মানুষের জন্য যা উন্নয়ন করেছেন তা এতদিন কেউ পারেনি। তিনি বলেন, বিজেপি ঘরে ঘরে গিয়ে টাকা দেবে। আপনারা টাকাটা নিয়ে নেবেন। আর ভোটটা দেবেন মা মাটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রীকে।
তিনি বলেন, বাংলার গরিব ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুকথা বলবে। আমি জানি, আপনাদের খুব কষ্ট হবে। কেউ কেউ বলছে, সেন্ট্রাল ফোর্স নাকি বিজেপির হয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলবে। আমি জানি না, এই কথা কতটা সত্যি। আমারা বিশ্বাস, এটা তারা করতে পারে না।
অন্যদিকে, এদিন বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে অনুব্রতবাবু বলেন, খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থীরাও খেলতে নেমে পড়েছেন। তাঁরা খেলতে না নামলে জিতবেন কী করে? তাঁরাই তো আসল খেলোয়াড়। পাশাপাশি নতুন-পুরনো প্রার্থীদের আরও বেশি বেশি করে মানুষের পাশে থাকার, পরিষেবা দেওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।
অনুব্রতবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা ভালো বুঝেছেন সেভাবেই প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। এতে দলেরই ভালো হবে। প্রার্থী নির্বাচনে দলনেত্রীর সিদ্ধান্তই সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। বাংলার মঙ্গলের জন্যই হয়েছে। বাংলায় এবার আরও কাজ হবে। আরও উন্নয়ন হবে। তবে, যাঁরা নতুন ও পুরনো সমস্ত প্রার্থীদের বলব, আপনারা বাংলার মানুষকে আরও বেশি বেশি করে পরিষেবা দিন। বাংলার মানুষের পাশে থাকুন।
দুবরাজপুর বিধানসভায় এবার নতুন মুখের প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। লাভপুর ও নানুরেও এবার নতুন প্রার্থী হয়েছেন। এদিন তিনি বোলপুরের দলীয় প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিনহার সমর্থনে একটি দেওয়াল লেখেন।