কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুধু জুন মালিয়াই নয়, জেলার আরও কয়েকটি আসনেও এবার চমক দিয়েছে দল। জেলার ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করা হয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি প্রয়াত হয়েছেন। আর পিংলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। সেই কেন্দ্রে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে প্রার্থী করা হয়েছে। গড়বেতায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিং হাজরাকে প্রার্থী করা হয়েছে।
ডেবরা কেন্দ্রেও চমক দিয়েছে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে গোষ্ঠী বিরোধ দলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে বর্তমান বিধায়ক সেলিমা খাতুন বিবিকে বাদ দিয়ে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীরকে প্রার্থী করা রীতিমতো মাস্ট্রারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন অনেকে। তার উপর হুমায়ুন কবীর এলাকারই বাসিন্দা। তাঁকে ভূমিপুত্র বলেও প্রচার করা যাবে।
সবং কেন্দ্রে বর্তমান বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়াকে বাদ দিয়ে রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়াকে প্রার্থী করে বিরোধীদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল তৃণমূল। এবার মানসবাবুকেই লড়াইয়ের ময়দানে দেখতে চেয়েছিলেন সবংয়ের মানুষ। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে দল তাঁদের মন জয় করে নিল, একথা বলাই যায়। এদিন তাঁর নাম প্রকাশ হতেই সবংয়ের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। মানসবাবু এদিন পিংলায় একটি কর্মিসভায় যোগ দেন। সেখানে তাঁকে জয়ী করার শপথ নেন কর্মীরা।
এছাড়াও নারায়ণগড় কেন্দ্রে বর্তমান বিধায়ক প্রদ্যোৎ ঘোষকে বাদ দিয়ে সূর্য অট্টকে প্রার্থী করা হয়েছে। চন্দ্রকোণার বিধায়ক ছায়া দোলইকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে অরূপ ধাড়াকে। দাঁতনে বিক্রম প্রধান, কেশিয়াড়িতে পরেশচন্দ্র মুর্মু, খড়্গপুর সদরে প্রদীপ সরকার, খড়্গপুরে দীনেন রায়, দাসপুরে মমতা ভুঁইয়া, ঘাটালে শঙ্কর দোলই, শালবনীতে শ্রীকান্ত মাহাত ও কেশপুরে শিউলি সাহাকেই ফের প্রার্থী করা হয়েছে।