কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘাঁটাপাড়ার এক গৃহবধূ শাশুড়ির সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। শাশুড়ি পুরনো মাটির বাড়িতে এবং সেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পাকা বাড়িতে গৃহবধূ থাকতেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে গৃহবধূ সবসময় বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখতেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সন্দেহ হয়। ওইদিনই বিকেলে গ্রামবাসীরা জানতে পারেন, পাকা বাড়ির মধ্যে এক যুবক রয়েছে। তার সাইকেলটি বেডরুমের মধ্যে লুকনো।
তখনই দু’জনকে টেনে নিয়ে গিয়ে গ্রামের ‘গণ আদালতে’ তোলা হয়। গৃহবধূ এবং যুবক তাঁদের অবৈধ প্রণয়ের কথা স্বীকার করলেও উত্তেজিত গ্রামবাসী তাঁদের রেহাই দেননি। যুবককে একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। তার পাশে গৃহবধূকে দাঁড় করিয়ে রেখে টিপ্পনি, মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি দু’জনকে গণধোলাইও দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁদেরকে হেনস্তা ও মারধর করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে যুগলকে যখন ওইভাবে অত্যাচার করা হচ্ছিল তখনই ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বিষয়টি পুলিসকে জানান। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বধূকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা পাঁচবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য বর্ণালি দোলই বলেন, আমি ওই দিন বাড়িতে ছিলাম না। তবে ঘটনাটি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।