পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর আগে দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত লাগে দাঁতন-২ ব্লকের কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা চিরঞ্জীববাবুর। সেই সময় বেলদায় চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু, কিছুদিন পরেই সমস্যা দেখা দেয়। হাঁটতে যেমন অসুবিধা হতো, তেমন ব্যথাও হতো। ভারী কাজ করতে গিয়ে তিনি সমস্যায় পড়তেন। এরপর মেদিনীপুরের এক চিকিৎসককে দেখালে তিনি জানান, চারটে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। তিনি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। প্রায় দু’লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়। তখন তিনি এক আত্মীয়ের পরামর্শে ভেলোরে যান। সেখানেও অপারেশনের কথা জানানো হয়। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু, আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় তাঁরা ফিরে আসেন।
চিরঞ্জীববাবু একটি ওষুধ দোকানে কাজ করেন। মাসে আয় বলতে হাজার পাঁচেক টাকা। তিনি বলেন, অত টাকা খরচ করে অপারেশন করানো যাবে না বলে ভেলোর থেকে ফিরে আসি। একদিন কাগজে দেখলাম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভেলোরেও চিকিৎসা করানো যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। মা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকায় ১৭ সালে কার্ড পেয়ে ছিলেন। সেই কার্ডেই এক সপ্তাহ আগে ভেলোরে অপারেশন হয়েছে। খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এক পয়সাও আমাদের দিতে হয়নি। সবটাই হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে। এখন অনেকটাই সুস্থ্য। কিছুদিন পর বাড়ি ফিরে যাব।