রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নির্বাচন বিধিকে মান্যতা দিয়ে চার পাঁচজনের গ্রুপ করে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নবদ্বীপের মহিলা বাহিনী। তাদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে সামিল হতেও দেখা যাচ্ছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও। এদিন নবদ্বীপ ব্রজানন্দ গোস্বামী রোডে প্রচারে দেখা গেল নবদ্বীপ শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর মনিকা চক্রবর্তীকে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। মোদি সরকার রান্নার গ্যাস, ডিজেল, কেরোসিন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে বাড়িয়েছে সে বিষয়ে মানুষকে জানাচ্ছেন তারা। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, পুরোহিত ভাতা সহ অন্যান্য সমস্ত সরকারি প্রকল্প যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছেছে সেসবও প্রচারে হাতিয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ভোট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই সক্রিয়ভাবে আমরা প্রচারে নেমেছি। বাড়ির মহিলা— যাঁদেরকে হেঁসেল সামলাতে হয় তারাই বেশি করে অনুভব করতে পারেন দ্রব্যমূল্য কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কথা বলতে তাদের কাছে বেশি করে আমরা যাচ্ছি। এছাড়া তৃণমূল ওয়ার্ড কমিটি ও মহিলা সাথী নাম দিয়ে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দলীয় মহিলা কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন। এদিন প্রচারে বেরিয়ে কলেজ ছাত্রী কোয়েল মণ্ডল বলেন, স্নাতক ডিগ্রি করেছি। পড়াশুনার সময় সব প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছি। তাই আমিও মাঝে মধ্যে প্রচারে বেরিয়ে দিদির সাথে থাকতে আবেদন করছি। তিনি আমাদের সঙ্গে সব সময় আছেন। আমরাও ওঁর সঙ্গে থাকব।
মণিপুর রোডের বাসিন্দা ৭০ বছরের নিভা ব্রহ্ম বলেন, দিদি আমাদের মতো অসহায় মহিলাদের বার্ধক্য ভাতা, চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দিয়েছেন, রেশনের মাধ্যমে চাল, গমও দিয়েছেন। আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। তাই বিবেকের টানে প্রচারে বেরচ্ছি। বড়ালঘাটের আর এক বাসিন্দা সুষমা কংসবণিক বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর খুব কষ্টে দিন চলছিল। এক ছেলে ও এক মেয়ে। তেমন রোজগার নেই। মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলাম। মাস ছয়েক আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। আজ আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে সুখেই আছে। আমি চাই আবারও আমাদের দিদি ক্ষমতায় আসুন। এদিন প্রাচীন মায়াপুরে দেওয়াল লিখতে দেখা গেল দুই বোন বর্ষা ও মনীষা ভৌমিককে। বর্ষা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু মনীষা সবে কলেজের পড়া শেষ করেছে। চারমাজদিয়া বাজারে কাছে ওদের বাড়ি। বাবা স্থানীয় বাজারে সবজি বিক্রি করেন। বর্ষা জানায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মতো পরিবারকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন। পড়াশুনার জন্য কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর সুযোগ পেয়েছি। দিদিকে খুব ভালো লাগে।