রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলার নেতাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। কীভাবে বক্তব্য শুরু করতে হবে বা কোথায় কখন উত্তেজক বক্তব্য দিতে হবে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। মূলত দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে নেতারা বক্তব্য রাখবেন। প্রথমত, বক্তব্যে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের কাহিনীও এই পর্বে উঠে আসবে। পরের ধাপে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলি তুলে ধরবে। সেসময়ই বেশকিছু বিষয় সামনে রেখে তারা উত্তেজক বক্তব্য রাখবে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুথস্তরে কীভাবে কাজ করতে হবে সেটাও প্রশিক্ষণ শিবিরে তুলে ধরা হয়। জেলার প্রতিটি এলাকায় বুথ ম্যানেজমেন্ট টিম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই টিমে সাতজন থাকবেন। তাঁরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। যেমন বুথগুলিতে হিন্দু এবং মুসুলমান ভোটারের সংখ্যা কত রয়েছে। বুথে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে সেসব কিছু নথিভুক্ত করে জেলায় পাঠাবেন। সেই তথ্যের উপরেই নেতারা এলাকায় গিয়ে বক্তব্য রাখবেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়াকে বিজেপি চারটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করেছে। ওই চারটি সাংগঠনিক জেলার সমস্ত স্তরের নেতাদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নেতাদের বুথস্তরে গিয়ে প্রচারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথে কমপক্ষে ১০টি দেওয়াল লিখনের জন্য বলা হয়েছে। দেওয়াল লিখনেও কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরা হবে। এছাড়া তৃণমূলকে কটাক্ষ করেও দেওয়াল লিখন হবে। বক্তব্যে নেতাদের মূল টার্গেট তৃণমূল থাকলেও কংগ্রেস, সিপিএম এবং আব্বাস সিদ্দিকির দলকেও তারা আক্রমণ করবে। তবে ওই দলগুলির ক্ষেত্রে আক্রমণের ঝাঁঝ কম হবে। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি জেলার নেতাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করা হচ্ছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেউ যাতে কোনও রকম ফাউল না করে সে সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। এক নেতা বলেন, সম্প্রতি কয়েকজন নেতার বক্তব্য দলকে বিপাকে ফেলেছিল। ভবিষ্যতে তাঁরা যাতে ওরকম বক্তব্য না তুলে ধরেন তারজন্য সতর্ক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর বক্তাদের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বলিয়ান সহ কেন্দ্রের আরও কয়েকজন নেতা বক্তব্যর কৌশল শিখিয়েছেন। বিজেপির জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত দাস বলেন, আমাদের দল শৃঙ্খলা মেনে চলে। সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়। মঙ্গলবারও তেমনই হয়েছে।
তবে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের কথা জানতে পেরে তৃণমূল গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাদের দাবি, বিজেপি নেতারা গোরুর দুধে সোনা খুঁজে পায়। প্রশিক্ষণ নিয়েই এসব বলে। যত বেশি ওরা প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করবে ততই নেতারা এরকম আজব তত্ত্ব দিয়ে বক্তব্য রাখবে। তৃণমূল নেতা সুকুমার অধিকারী বলেন, উত্তেজক বক্তব্য রেখে পরিস্থিতি তপ্ত করা বিজেপির পুরনো অভ্যাস।