কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
১৯৮২ সালে সবং থেকে প্রথম বিধায়ক হন মানসবাবু। পরপর তিনবার জেতার পর ’৯৬ সালে বামফ্রন্ট প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। কিন্তু ভোট চুরি করে তাঁকে হারানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে মানসবাবু আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত থেকে তিনি জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ২০০১ সালে তিনি অবশ্য বামফ্রন্ট প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তারপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য হন তিনি। ১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়ে জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে স্ত্রী গীতারানি ভুঁইয়াকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তিনিও জয়ী হয়েছিলেন। মানসবাবু রাজ্যসভার সদস্য।
সবংয়ের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মানস ভুঁইয়ার নাম। জেলা থেকে রাজ্য, এমনকী দিল্লির রাজনীতির অনেক নেতা মনে করেন, সবং মানেই মানস ভুঁইয়া। সাধারণ বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি যখন যে-পদ পেয়েছেন, সেখান থেকেই সবংয়ের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, সবংয়ের যা উন্নয়ন হয়েছে, সবই মানসবাবুর জন্য। গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাঙ্কের শাখা খোলা, ডেবরা থেকে সবং সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণ, দমকল কেন্দ্র স্থাপন, সরকারি বাস ডিপো তৈরি, সব ক্ষেত্রেই কোনও না কোনও ভাবে মানসবাবু জড়িয়ে রয়েছেন। একটা সময় ছিল যখন বর্ষায় জলে ভাসত সবং। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়তেন। ঘর ভাঙত, মানুষও মারা যেত। মানসবাবুর উদ্যোগেই সবংয়ের সেই দুর্ভোগ দূর হয়েছে। এখন আর প্রতি বছর বর্ষার সময় মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে হয় না। তাই তাঁরা মানসবাবুকেই বিধানসভায় দেখতে চাইছেন।
মানসবাবু তৃণমূলের প্রার্থী হলে লড়াইটা জোরদার হবে বলে মনে করছে বিরোধীরাও। জানা গিয়েছে, গীতা ভুঁইয়াই ফের প্রার্থী হবে ধরে নিয়ে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি এবার সেখানে সদ্য দলে যোগ দেওয়া এক দলবদলু নেতাকে প্রার্থী করবে বলে প্রায় ঠিক করে ফেলেছিল। কিন্তু মানসবাবু প্রার্থী হতে পারেন, আঁচ করে তারা এখন এক চিকিৎসককে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও এক প্রাক্তন আমলার কথাও তাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে। যদিও দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, কে প্রার্থী হবেন, তা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখানে আমাদের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। আর সবংয়ে তৃণমূলের যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, জিতবে বিজেপি।