কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রথম দফায় ভোটের মনোনয়নপর্ব মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। যদিও সংযুক্ত মোর্চার অন্দরের সমস্যা যথারীতি জিইয়ে রয়েছে। যার ফলে প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা হয়নি। জোট নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হলেও এনিয়ে অবশ্য খুব একটা মাথাব্যথা নেই এই জেলার বাম নেতৃত্বের। জেলার প্রথম সারির নেতাদের দাবি, এখানে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট কোথাও প্রার্থী দেবে না। তাই গত বিধানসভার মতো ১৪ আসনে বাম প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করতে তৎপর নেতৃত্ব। জেলার কংগ্রেস নেতাদের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দুটি আসনে লড়াই করেছিল। তবে, গতবার ও এবারের বামেদের অবস্থা এক নয়। লোকসভা ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বামেরা ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে। তাই কংগ্রেসের আরও কয়েকটি আসন এই জেলায় পাওয়া উচিত। বিশেষ করে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভায় দিনের পর দিন একাধিক কর্মসূচি নিয়ে মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চলছে। অথচ এখানে যদি কংগ্রেস প্রার্থী লড়াই করতেই না পারেন, তাহলে কর্মীদের মনোবল ভাঙতে পারে।
তবে, জোট হলেও একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি বর্ধমানে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কমরেডরা। বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী মহাজোটের বৈঠকে রফা সূত্রের দিকে না তাকিয়ে বামেরা এখানে এককভাবেই অতি সক্রিয়। দলের নেতাদের কথায়, সোমবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করে আসন নিয়ে নিজেদের মধ্যে ৯০ শতাংশ বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়েছে। যদিও প্রথম দফার ভোট হবে এমন কয়েকটি কেন্দ্র নিয়েই বাম-কংগ্রেসের মধ্যে রফা হয়নি। একইভাবে আইএসএফ ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জট আমাদের জেলায় প্রভাব পড়বে না। এখানে কংগ্রেস ও আইএসএফের থেকে অনেক শক্তিশালী বামেরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, আমরা জোটের পরিকল্পনা নিয়েই এগচ্ছি। যে যেখানে শক্তিশালী, তারা সেখানেই লড়বে। আসন রফা শীঘ্রই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে, এই জেলার অধিকাংশ বিধানসভায় আমাদের ভালো ফল হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে একাধিক কর্মসূচি আমরা আগেই শুরু করে দিয়েছি। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে আমাদের সংযুক্ত ফ্রন্টের কর্মসূচি ও তার প্রভাব মানুষ বুঝতে পারবেন।
কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, এখানে আমরা দুটি আসনে খুশি নই। তবে জোটের দিকে তাকিয়ে আমরা মেনে নিচ্ছি। প্রথমদিকে বামেদের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে, এখন বাম ও আইএসএফের সঙ্গে একযোগে লড়াই হবে। এই জেলায় আইএসএফের সেভাবে কোনও সংগঠন নেই। তাই ওদের নিয়ে বাড়তি চিন্তাও নেই।