কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে রানাঘাটের ছ’টি পঞ্চায়েত এলাকায় বুথ সভাপতি ও বুথ কর্মী নিয়ে পৃথক ছ’টি বৈঠক করেন জেলা সভাপতি। দুপুরে রানাঘাট-১ ব্লকের আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাটি হয় কায়েত পাড়া মাঠে। সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মহুয়াদেবী বলেন, আমাদের সঙ্গে বিদ্যার দেবী সরস্বতী আছেন। তাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ও বুদ্ধি খাটিয়ে এবারের নির্বাচন জয় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওরা নাগরিকত্ব নিয়ে ভুল বার্তা দিচ্ছে। নাগরিকত্ব কার্ড বলে আলাদা করে কিছু হয় না। বিগত দিনে রাজ্য সরকার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। বহু মানুষ সেই সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। সেই উন্নয়নের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কোনও ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি তৃণমূল করে না। প্রসঙ্গত, আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবার এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে আসে। পঞ্চায়েতের মোট ২০টি গ্রাম সভা রয়েছে। তারমধ্যে বর্তমানে ১৩টি শাসক দলের দখলে থাকলেও, বাকি সাতটি রয়েছে বিরোধীদের। এছাড়া গত লোকসভা ফলাফলের নিরিখে এই পঞ্চায়েতে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে জোড়া ফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে গত বছর ডিসেম্বর মাসে এখানে প্রথম কর্মিসভা করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। সেই সময় দলীয় বুথ কর্মীদের নির্দিষ্ট কিছু কাজ দিয়ে যান। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, এদিন তা খতিয়ে দেখেন তিনি।
এদিনের কর্মিসভায় অংশ নেওয়া অনেকে বলেন, এর আগে সাংগঠনিক কাজ এভাবে কাগজে-কলমে করিনি। তবে জেলা সভাপতি যে কৌশল শিখিয়েছেন, তাতে নিশ্চিতভাবে এবারের নির্বাচনে আমাদের কাজ করা অনেকটাই সহজ হবে। আনুলিয়া ছাড়াও এদিন সকাল থেকে বৈদ্যপুর-২, পায়রাডাঙা, তারাপুর, হবিবপুর ও ন’পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সভা করেন মহুয়াদেবী।