বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জোটে ঘোঁট পাকার লক্ষ্মণ দেখা দেওয়ায় তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। তৃণমূল নেতা চাঁদ মহম্মদ বলেন, ওরা আগেও জোট করে লড়েছিল। কিছু লাভ হয়নি। এবারও হবে না। ভাবতে অবাক লাগে যে সিপিএম কংগ্রেস কর্মীদের খুন করেছে তাদের সঙ্গেই ওরা হাত মেলাচ্ছে। অন্যান্য জায়গার মতো ভগবানগোলাতেও কংগ্রেস কর্মীরা খুন হয়েছেন। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ওরা এসব করছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হবে না। ওরা হারবে।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা যেসব বিধানসভা কেন্দ্রে গতবার প্রার্থী দিয়েছিল এবারও সেখানে তারা লড়বে। ডোমকলে তাদের দলের বিধায়কও রয়েছে। দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে বামেরা বোঝাতে চাইছে কংগ্রেসের সব শর্ত তারা মানতে রাজি নয়। ডোমকলের পাশাপাশি জলঙ্গিতেও তারা দু’-একদিনের মধ্যেই কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা না করে দেওয়াল লিখন শুরু করে দেবে। ভগবানগোলা, জঙ্গিপুর বা নবগ্রামেও দেওয়াল লিখন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বামেরা নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য ২৭জানুয়ারি বহরমপুরে বড় কর্মসূচিও নিচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই। তারাও প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে। খোদ অধীর চৌধুরী জেলায় পড়ে থেকে লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছেন। ডোমকল, জলঙ্গি, নবগ্রামেও তিনি সভা এবং পদযাত্রা করেছেন। জেলার বাসিন্দারা বলেন, জেলার ২২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ জায়গাতেই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হবে। গত নির্বাচনে তারা জেলায় নবগ্রাম, ভগবানগোলা, জলঙ্গি বা ডোমকল বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হলেও তাদের ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। বামেদের একটা বড় অংশ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তাদের দলের দুই বিধায়কও তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেছে। কংগ্রেসের নেতারা শাসকদলে গেলেও অধীর চৌধুরী লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে জেলায় হারানো জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের সংগঠন আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো হয়েছে। জেলার নবগ্রাম, বড়ঞা, ফরাক্কা, বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিও শক্তি বাড়িয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জোট না হলে সিপিএমই বেশি ধাক্কা খাবে। তবে তারা সহজে দমতে নারাজ। সেই কারণেই দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে তারা বার্তা দিতে শুরু করেছে।